ক্যালিফোর্নিয়ার ওসি রেজিস্টার নিউজ সাইটের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
পরিবারটির কর্তা ড্রিক ফ্রিকম্যান জানান, লাফিয়ে ওঠা ডলফিনটি তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে তার স্ত্রীর পায়ের উপর গিয়ে পড়ে। তিনি ১৫০ কেজি ওজনের ওই ডলফিনটির নিচে চাপা পড়া স্ত্রীকে টেনে বের করেন। কিন্তু ইতোমধ্যেই ডলফিনটির আঘাতে তার স্ত্রীর দুটি পা-ই ভেঙে গেছে।
ডলফিনটি লেজ দিয়ে তার কন্যার মুখেও আঘাত করে।
সাগরে ভ্রমণের সময় একদল ডলফিনের চলাচল দেখার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনার পরপরই ফ্রিকম্যান নৌকা ঘুড়িয়ে পারের দিকে রওয়ানা হন। তবে ডলফিনটিকেও বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। এ জন্য কয়েক মূহুর্ত পর পর স্তন্যপায়ীটির শরীরে সাগরের পানি ঢালতে হয়েছে তাকে।
তীরে পৌঁছেই বন্দর পুলিশকে ফোন করেন তিনি। এখানে অপর দুজনের সহায়তায় ও কিছু দড়ির সাহায্যে ডলফিনটিকে পানিতে ছেড়ে দিতে সক্ষম হন তারা।
ফ্রিকম্যান বলেন, “আশা করছি ডলফিনটি বেঁচে যাবে। কোনো সমস্যা ছাড়াই এটি সাঁতার কেটে চলে যায়।”
ঘটনাটি নিশ্চিত করে অরেঞ্জ কাউন্টি বন্দরের এক কর্মকর্তা সার্জেন্ট ডিজে হ্যালডেম্যান জানিয়েছেন, সীলরা লাফিয়ে নৌকায় উঠে গেছে শুনলেও ডলফিনের কথা কখনও শুনেননি।
“পানিতে কী ছিল আমি জানি না, তবে অবশ্যই কোনো কারণে এটি ভয় পেয়েছিল,” বলেন তিনি।
২১ জুনের ওই ঘটনার সময় ফ্রিকম্যান দম্পতি ১৮তম বিবাহ-বার্ষিকী পালন উপলক্ষে নৌভ্রমণে গিয়েছিলেন। সঙ্গে তাদের দুই সন্তানও ছিল।