ওবামাকে ‘বিয়ের প্রস্তাব’ দিতে চান মুগাবে

যুক্তরাষ্ট্রের আদালত সমলিঙ্গ বিয়ের বৈধতা দেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে শ্লেষের তীর ছুড়েছেন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে, যিনি সমকামিতার কট্টর বিরোধী হিসাবে পরিচিত।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2015, 05:47 AM
Updated : 2 July 2015, 07:43 AM

মুগাবে বলেছেন, তিনি হোয়াইট হাউসে গিয়ে বারাক ওবামাকে বিয়ের প্রস্তাব দেবেন।  

শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বেতারে দেওয়া সাপ্তাহিক সাক্ষাৎকারে মুগাবে কৌতুক করে বলেন, ওয়াশিংটনে গিয়ে ‘এক হাঁটু গেড়ে তার (ওবামার) পাণি প্রার্থনা’ করার ইচ্ছা আছে তার।

“প্রেসিডেন্ট ওবামা যখন সমলিঙ্গ বিয়ের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন, সমকামীদের পক্ষ নিয়েছেন এবং অস্বস্তিকর পরিস্থিতি উপভোগ করছেন, তখনই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

গত ২৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে সমলিঙ্গ বিয়ে বৈধতা পায়। রায়ের পরপরই বিভিন্ন স্থানে সমকামীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন, অনেকে বিয়েও করেন।

হোয়াইট হাউজের এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ছবিটি এপ্রিল মাসে তোলা

যুক্তরাষ্ট্রে ওই রায়ের পর বিভিন্ন দেশে এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা চলছে। বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতেও।

নিজের দেশে সমকামিতার বিরুদ্ধে সবসময় কঠোর অবস্থানে থাকা মুগাবে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়কে বলেছেন ‘উদ্ভট’।

“আমি বুঝতে পারি না, মানুষ কীভাবে খ্রিস্টের স্পষ্ট নির্দেশ অমান্য করার সাহস পায়, যেখানে প্রভু এটা (সমকাম) নিষিদ্ধ করেছেন।”

‘বিকৃতরুচির শয়তানের সমর্থকরাই’ যুক্তরাষ্ট্রের সরকার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মুগাবে, ওয়াশিংটন যাকে স্বৈরশাসক বলে থাকে। 

জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেও খোদ আফ্রিকা মহাদেশেও কয়েকটি দেশে সমকামিতাকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ গত বুধবার ঔপনিবেশিক আমলের দণ্ডবিধি সংশোধন করে মোজাম্বিক সরকার সমকামিতাকে বৈধতা দেয়।

পর্তুগিজ অধীনে থাকার সময় ১৮৮৬ সালে করা ওই দণ্ডবিধিতে ‘প্রকৃতিবিরুদ্ধ কাজে লিপ্ত’ হলে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান ছিল।

অবশ্য ১৯৭৫ সালে স্বাধীন হওয়ার পর মোজাম্বিকে কাউকে ওই ধারায় সাজা দেওয়ার নজির নেই।