মিশরের সিনাইয়ে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত শতাধিক 

মিশরের উত্তর সিনাইয়ে সামরিক তল্লাশি চৌকিগুলিতে জঙ্গিদের একযোগে চালানো হামলার পর শতাধিক জঙ্গি ও ১৭ সেনা নিহত হয়েছেন। 

>>রয়টার্স
Published : 2 July 2015, 04:27 AM
Updated : 2 July 2015, 04:43 AM

বুধবার মিশরের সেনাবাহিনী এ কথা জানিয়েছে। 
 
এটি গত কয়েক বছরের মধ্যে মিশরের অস্থিরতা আক্রান্ত সিনাই প্রদেশে জঙ্গিদের চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। লড়াই চলাকালে জঙ্গিদের দমনে এফ-১৬ জঙ্গিবিমান ও অ্যাপাচি হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে মিশরের সামরিক বাহিনী। 
 
বুধবার রাতে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র উত্তর সিনাইয়ের পরিস্থিতি ‘১০০ ভাগ নিয়ন্ত্রণে আছে’ বলে দাবি করেছেন। পরে নিরাপত্তা সূত্রগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জঙ্গিদের অবস্থান লক্ষ করে বিমান হামলা শুরু করা হয়েছে। 
 
সেনাবাহিনী বলেছে, ওই এলাকার ‘সন্ত্রাসীদের সব আস্তানা’ পরিষ্কার না করা পর্যন্ত তারা থামবে না।
 
তিনটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ১৫টি নিরাপত্তা স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে জানিয়ে ইসলামি স্টেট (আইএস) সিনাই প্রদেশ শাখা হামলার দায় স্বীকার করেছে। 
 
সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে শেখ জুবেইদ এবং রাফা শহরে লড়াই সীমাবদ্ধ হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।   জঙ্গিরা গাড়িবোমা ছাড়াও বহু ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী। 
 

নিহত ১৭ সেনার মধ্যে চারজন কর্মকর্তা, এছাড়া আরো ১৩ সেনা আহত হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। তবে কিছু নিরাপত্তা সূত্র সেনাবাহিনী ও পুলিশের আরো অনেক সদস্য নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। 
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র অনেক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছেন। 
জঙ্গিরা শেখ জুবেইদ টাউনটি দখল করে নিতে চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা সূত্রগুলো। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী তা ব্যর্থ করে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন একজন। 
এর আগে নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছিল, জঙ্গিরা শেখ জুবেইদে একটি পুলিশ স্টেশন ঘিরে ফেলে চারপাশে বোমা স্থাপন করেছে। জঙ্গিরা শেখ জুবেইদ ও আল জোহর সেনা ক্যাম্পের মধ্যবর্তী সড়কেও বোমা বিছিয়েছে এবং দুটি সাঁজোয়া যান দখল করে নিয়ে অনেক গুলি ও অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছে।
শেখ জুবেইদের ৪৯ বছর বয়সী বাসিন্দা সুলেইমান আল সাইদ জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে লড়াই চলাকালে তাকে বাসা থেকে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ সময় তিনি পাঁচটি ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িতে মুখোশ পড়া লোকজনকে কালো পতাকা উড়িয়ে যেতে দেখেছেন।

অনেকে ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তবর্তী রাফা শহরেও দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। লড়াই চলাকালে রাফা ও শেখ জুবেইদে যাওয়ার সবগুলো সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। 
 
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণায় জানিয়েছে, মিশরীয় সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।