অবৈধভাবে একটি ব্যাথানাশক ওষুধ জাপানে আমদানি করছেন এমন সন্দেহে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হ্যাম্পকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এক বিবৃতিতে টয়োটার পক্ষ থেকে বলা হয়, “সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে আমাদের শেয়ারহোল্ডাররা যে অসুবিধা বোধ করছেন এবং তাদের মধ্যে যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে তা বিবেচনায় নিয়ে আমরা হ্যাম্পের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি।”
ওই পদে নতুন কাউকে নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা শিগেরু হায়াকাওয়া হ্যাম্পের দায়িত্ব পালন করবেন।
তদন্ত চলছে এ অজুহাতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানাতে অস্বীকার করেছে টয়োটা কর্তৃপক্ষ।
“যোগ্য লোককে যোগ্য স্থানে রাখতে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,” বলেছে টয়োটা।
১৮ জুন কাস্টমস কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে হ্যাম্পের নামে পাঠানো একটি পার্সেলে ব্যাথানাশক ট্যাবলেট ওক্সিকোডোন খুঁজে পান। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যদিও হ্যাম্প পুলিশের কাছে বলেন, তিনি মনে করেন না তিনি কোন অবৈধ বস্তু আমদানি করেছেন।
বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন হ্যাম্প। জাপানের আইন অনুযায়ী কাউকে গ্রেপ্তারের পর তাকে অন্তত ২০ দিন পুলিশি হেফাজতে থাকতে হবে। এ সময়ে তার বিরুদ্ধ অভিযোগ গঠন করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান উভয় দেশেই চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে ওক্সিকোডোন সেবনের পরামর্শ দেন।
কিন্তু সমস্যা হল, জাপানের আইন অনুযায়ী, ওষুধটি জাপানে আমদানি করতে হলে আগে অনুমতি নিতে হবে এবং ওষুধটি অবশ্যই আলাদাভাবে বহন করতে হবে।
হ্যাম্পকে গ্রেপ্তারের পর টয়োটা কর্তৃপক্ষ বলেছিল, তাদের বিশ্বাস জাপানের আইন লঙ্ঘন করার কোন উদ্দেশ্য হ্যাম্পের ছিল না।
২০১২ সালে টয়োটার উত্তর আমেরিকা বিভাগে যোগদান করেন হ্যাম্প। জুনে তিনি টোকিও যান।