দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের এই ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে আল কায়েদার সন্দেহভাজন জঙ্গিরাও রয়েছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কারাগারে হামলা চালিয়ে ইয়েমেনি জঙ্গিদের মুক্ত করার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তবে এবারের ঘটনাতেই সবচেয়ে বেশি বন্দি পালিয়ে গেছে।
আল কায়েদার জঙ্গিরা মুক্ত হওয়ায় দেশটির গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি আরো নাজুক হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হল।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সাবাকে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, “আজ তায়িজ শহরে আল কায়েদা গোষ্ঠীর একদল সমর্থক হামলা চালিয়েছে, এতে এক হাজার দুইশ জনেরও বেশি বিপজ্জনক বন্দি কারাগার থেকে পালিয়ে যেতে পেরেছেন।”
অন্য এক কর্মকর্তা পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে ‘আল কায়েদার সন্দেহভাজনরাও রয়েছেন’ বলে জানিয়েছেন।
‘পপুলার কমিটি’ নাম নিয়ে আল কায়েদা সমর্থকরা কারাগারের দিকে এগিয়ে গেলে হুতি মিত্র সাবেক ইয়েমেনি প্রেসিডেন্ট আালি আব্দুল্লাহ সালেহর অনুগত সেনারা কারাগারের ফটক উন্মুক্ত করে দেন বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “পপুলার কমিটি এগিয়ে এসে এলাকার দখল নেওয়ার চেষ্টা করলে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে তীব্র লড়াই শুরু হয়, কিন্তু একপর্যায়ে সালেহ অনুগত সেনারা কারাগারের ফটক উন্মুক্ত করে দেন।”
শিয়া মুসলিম হুতি বিদ্রোহীরা মার্চে তিয়াজ শহরে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু ওই মাস থেকেই শুরু হওয়া সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোট বাহিনীর বিমান হামলার কারণে শহরটির পুরো দখল নিতে পারেনি হুতি বিদ্রোহী ও তাদের মিত্র সালেহ অনুগত সেনাবাহিনীর অংশটি।
এপ্রিলে পূর্বাঞ্চলীয় মুকাল্লায় সেনাবাহিনী হঠাৎ করে শহর ছেড়ে গেলে শহরের কারাগার ভেঙে আল কায়েদা জঙ্গিদের মুক্ত করে নিয়েছিল গোষ্ঠীটির একদল সদস্য।