চুক্তির সময়সীমা পেরোনোর দোলাচলে ৬ বিশ্বশক্তি-ইরান

ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হওয়া নিয়ে দোলাচলের মধ্যেই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তেহরান ও ছয় বিশ্বশক্তি।

৩০ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। এজন্য অস্টিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় শনিবার থেকেই জড়ো হতে শুরু করেন ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান এবং আরো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও আলোচনায় অংশ নিতে সেখানে গেছেন।

মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়সীমার শেষদিনেও চুক্তির বিষয়ে একমত হতে পারেননি কূটনীতিকরা।

তারা বলেন, চুক্তিতে উপনীত হওয়ার জন্য যতদিন প্রয়োজন ততদিন ধরেই ভিয়েনার আলোচনা চলবে।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, “একটি পরিপূর্ণ চুক্তির জন্য এখনো বাস্তব ও কঠিন কিছু বিষয় রয়ে গেছে যেগুলোর সমাধান করতে হবে। আমরা এখনো জানি না, কবে নাগাদ আমরা ওইসব বিষয়ে একমত হতে সক্ষম হব।”

মঙ্গলবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ বলেন, “একটি চূড়ান্ত চুক্তির জন্যই আমি এখানে এসেছি। আমার মনে হয় আমরা তা করতে পারব।”

চুক্তিতে উপনীত হওয়ার ক্ষেত্রে মূল বাধাগুলোর অন্যতম হচ্ছে, যদি চুক্তি হয় তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য পরমাণু কার্যক্রম কমিয়ে আনার বিনিময়ে কখন বা কত দ্রুত ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে সে বিষয়ে একমত হতে পারছে না উভয় পক্ষ। এছাড়া, ইরান চুক্তির কোনো প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করছে কিনা সেটা ঠিক কি উপায়ে নজরদারি করা হবে তা নিয়েও মতবিরোধ আছে।

পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের ইরানের সামরিক ঘাঁটি ও পরমাণু প্রকল্পগুলোতে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে।

এ ব্যাপারে একটি সমাধানের পথে অনেক দূর অগ্রসর হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমা কূটনীতিকরা।

যদিও ইরানের কর্মকর্তারা বলেন, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সামরিক ঘাঁটিতে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের যাওয়া বিষয়ে অনুমতি দিচ্ছেন না।