ইন্দোনেশিয়ায় সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৫৫

ইন্দোনেশিয়ায় একটি সামরিক পরিবহন বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2015, 08:00 AM
Updated : 1 July 2015, 03:27 AM

বিমানটিতে মোট ১১৩ জনআরোহী ছিল এবং তাদের কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সুমাত্রার উত্তরাঞ্চলীয় মেদান শহরের একটি হোটেল ও পাশ্ববর্তী আবাসিক এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। মেদানের বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কয়েকমিনিটের মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বিমান বাহিনীর প্রধান আগুস সুপরিয়াতনা সাংবাদিকদের বলেন, “খুব সম্ভবত বিমানের ১১৩ আরোহীর কেউই আর বেঁচে নেই।”

অর্ধশতাব্দী আগে উড্ডয়ন শুরু করেছিল সি-১৩০বি হারকিউলিস বিমান। মেদানের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি কয়েকটি বাড়ি ও একটি হোটেলের সঙ্গে ধাক্কা খায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাছের একটি হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৫৫টি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে।

যদিও শুরুতে সামরিক মুখপাত্র ফুয়াদ বাসিয়া জানিয়েছিলেন, বিমানটিতে পাইলটসহ ১২ জন আরোহী ছিলেন।

ঘনকালো ধোঁয়া ও ঘটনাস্থল ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড়ের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে।

মেদান বিমান ঘাঁটি থেকে সুমাত্রার তানজুং পিনাং দ্বীপে যাচ্ছিল বিমানটি। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, কারিগরি ত্রুটির কারণে পাইলট ফিরে আসার কথা বলেছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন গোল্ডেন ইলেভেন হোটেলের রিসিপসনিস্ট এলফ্রিদা এফি টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, “এটা খুব নিচ দিয়ে মাথার উপর কয়েকবার চক্কর কাটে।”

“বিমানটিতে আগুন জ্বলছিল এবং কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল। পরে এটি হোটেলের ছাদের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয়ে সোজা নিচে পড়ে।”

এভিয়েশন সেফ্টি নেটওয়ার্কের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত একদশকে ইন্দোনেশিয়ার সেনা বা পুলিশের ১০টি এয়ারক্র্যাফ্ট মারাত্মক দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। যা দেশটির আকাশ পথে নিরাপত্তার বেহালদশার কথা জানান দিচ্ছে।

গত ডিসেম্বরে এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট কিউজেড৮৫০১ বিমানটি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার সময় মাঝপথে বিধ্বস্ত হয় এবং ১৬২ আরোহীর সবাই মারা যায়।

ফ্লাইটগ্লোবাল এর এশিয়া ম্যানেজিং এডিটর জর্জ ওয়ালড্রোন বলেন, “আজকের এই ভয়াবহ ঘটনার কারণ কি সেটা বলার সময় এখনো আসেনি। কিন্তু এ ঘটনা আবারো ইন্দোনেশিয়ার আকাশ পথে নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ বাড়াবে। বিশেষ করে কিউজেড৮৫০১ বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার মাত্র ছয় মাসের মাথায় আবারও এরকম একটি ঘটনা ঘটল।”

বিমান বাহিনীর মুখপাত্র উই বাদার্মানতো বলেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। বিষয়টি সুরহা না হওয়া পর্যন্ত বাকি আটটি সি-১৩০বিএস বিমান উড্ডয়ন করবে না।