তিউনিসিয়ায় হামলা, সন্দেহভাজন অনেকে গ্রেপ্তার

তিউনিসিয়ার সুস শহরের সমুদ্রতীরবর্তী একটি হোটেলে এক বন্দুকধারীর হামলায় ৩৮ জন বিদেশি পর্যটক নিহতের ঘটনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2015, 11:29 PM
Updated : 29 June 2015, 11:56 PM

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহামেদ গারসালির বরাতে বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

গারসালি বলেন, দেশটির সমুদ্রসৈকতগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় ১ হাজার রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।

যে স্থানগুলোতে নির্বিচার হত্যার ঘটনাগুলো ঘটেছে সেসব স্থানে তিন ইউরোপীয় মন্ত্রী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ইতোমধ্যে এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।

রোববার বিবিসি জানতে পারে, নিহতদের মধ্যে ৩০ জনই যুক্তরাজ্যের নাগরিক।

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে (সামনে থেকে ডানে), ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কাজেনেউভে (সামনে থেকে বাঁয়ে), জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থমাস দে মাইজিরে (সামনে থেকে বাঁয়ে দ্বিতীয়) এবং তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহামেদ গারসালি। ছবি: রয়টার্স

এক পর্যটক দম্পতি। শুক্রবার বন্দুকধারীর হামলায় তারা নিহত হন। ছবি: রয়টার্স

হত্যাকারী সাইফ রেজগুইকে ইঙ্গিত করে গারসালি বলেন, “এই সন্ত্রাসী-অপরাধীর সঙ্গে যে চক্রটি ছিল আমরা সেই চক্রের উল্লেখযোগ্য সংখ্যককে গ্রেপ্তার করেছি।”

তিউনিসিয়ার এই ছাত্রই শুক্রবার কালাশনিকভ রাইফেল দিয়ে গুলি করে ৩৮ পর্যটককে হত্যা করেন। পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে তিনিও নিহত হন।

তিউনিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, এই হামলা সাইফ রেজগুই একাই চালিয়েছেন। কিন্তু তার কোনো সহযোগী রয়েছে, যে বা যারা তাকে অস্ত্রসহ অন্যান্য সহযোগিতা দিয়েছে।

তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গারসালি যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, “অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে আমরা বন্ধু।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা নিশ্চিত জানি, সন্ত্রাসীরা জয়ী হবে না।”