এশীয় ব্যাংকের যাত্রা শুরু হচ্ছে চীনের নেতৃত্বে

পশ্চিমা বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত বিশ্ব ব্যাংক এবং এশীয় ‍উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এশিয়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনেভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) যাত্রা শুরু করতে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2015, 06:19 PM
Updated : 29 June 2015, 06:19 PM

এআইআইবি’ ব্যাংকের প্রস্তাব করেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সোমবার বেইজিংয়ের গ্রেট হলে চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। এদিন ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা চুক্তি সাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

চুক্তিতে প্রত্যেক সদস্যের শেয়ার ও ব্যাংকের প্রাথমিক মূলধনে কার অংশগ্রহণ কেমন হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের তালিকায় যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াও রয়েছে।

শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র চীন নেতৃত্বাধীন এআইআইব ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র নতুন ব্যাংকটির পরিচালনার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের আশঙ্কা, চীন ধীরে ধীরে নিজেদের ‘ক্ষমতার বিস্তার’ ঘটাচ্ছে। এজন্য অন্যান্য দেশগুলোকে চাপ দিয়ে এ থেকে দূরে রাখাও চেষ্টাও করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

এশিয়া অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন সামিটে শি জিনপিং এ ব্যাংক গঠনের ঘোষণা দেন।

এরপর আলোচনার এক পর্যায়ে গত বছরের অক্টোবরের শেষে এআইআইবি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশসহ ২২টি এশীয় দেশ একটি সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করে।

সমঝোতা অনুযায়ী, ব্যাংকটির সদরদপ্তর বেইজিংয়ে স্থাপন এবং বহুপক্ষীয় অন্তর্বতীকালীন সচিবালয়ের মহাসচিব হিসেবে জিন লিকুনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়।

এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও ইউরোপের সঙ্গে স্থলপথের সংযোগ স্থাপন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থায়ন করাই হবে এর প্রধান লক্ষ্য।

প্রথম দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া চুক্তিতে সাক্ষর করে। পরে বাংলাদেশসহ ৪৯টি দেশের প্রতিনিধিরা চুক্তি সাক্ষর করেন। এ বছরের শেষে আরও সাতটি দেশের চুক্তি সাক্ষর করার কথা রয়েছে।

এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার অধিকাংশ দেশ এআইআইবি’র সঙ্গে যোগ দিয়েছে।

৫০ বিলিয়ন অনুমোদিত মূলধন নিয়ে কাজ শুরু করবে এআইআইবি। ‘আর্টিকেল অব এগ্রিমেন্ট’ অনুযায়ী ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ধরা হয়েছে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

রয়টার্স জানায়, মূলধনের ৩০ দশমিক ৩৪ শতাংশ দেবে চীন। তারা ব্যাংকটির সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার। এরপরই আছে ভারত। তারা খুব সম্ভবত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মূলধনের যোগান দেবে। রাশিয়া ও জার্মানি যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে আছ।

চীনের অর্থমন্ত্রী লউ জিউই সোমবার রয়টার্সকে বলেন, “আমার বিশ্বাস এ বছরের শেষেই এআইআইবি কাজ শুরু করতে পারবে।”

চীনের গ্রেট হলে এআইআইবি ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন নেতারা।