জঙ্গি এই সংগঠনটি পশ্চিমা বিশ্বের অস্তিত্বের জন্যও হুমকি বলে মনে করে তিনি।
গত শুক্রবার তিউনিসিয়ায় একটি পর্যটন হোটেলে একজন বন্দুকধারীর গুলিতে ৩৯ পর্যটক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ৩০ জনের বেশি ব্রিটিশ নাগরিক।
পরে আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করে।
ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরা মনে করেন, লন্ডনে ২০০৫ সালে বোমা হামলার পর এটিই সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনা যেখানে যুক্তরাজ্যের এতজন নাগরিক নিহত হয়েছে।
বিবিসি বেতারকে ক্যামেরন বলেন, “এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি। কারণ একটি উদার ধর্মের তথাকথিত অনুসারীদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এখানে কি ঘটছে? ধর্মের নামে তাদের এই হত্যাযজ্ঞ অনেক তরুণকে বিপথগামী করছে।”
“ইরাক ও সিরিয়ায় এমন অনেক মানুষ আছে যারা যুক্তরাজ্যের ভেতরে-বাইরে ভয়ঙ্কর কিছু করার পরিকল্পনা করছে। ওই দুইটি দেশে যতদিন ইসলামিক স্টেটের অস্তিত্ব থাকবে ততদিন আমাদের উপর হুমকি থাকবে।”
বর্তমানে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য।
পুলিশ জানান, তিউনিসিয়ার হোটেলে হামলার ঘটনার পর দেশটিতে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা মুসলিম চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার কথা ভাবছে সরকার। ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ’ পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
ক্যামেরন বলেন, “আমরা অসহিষ্ণুতাকে আর সহ্য করব না।”