ফ্রান্সে হামলাকারীর সঙ্গে সিরিয়ার যোগাযোগ

ফ্রান্সে রাসায়নিক প্ল্যান্ট উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টাকারী সন্দেহভাজন নিজের ব্যবস্থাপককে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন। 

>>রয়টার্স
Published : 29 June 2015, 06:17 AM
Updated : 29 June 2015, 06:17 AM

রোববার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র এ কথা জানিয়েছেন। 
 
অপরদিকে এই সন্দেহভাজনের সঙ্গে বর্তমানে সিরিয়ায় অবস্থানকারী এক জঙ্গির সম্পর্ক আছে বলে জানিয়েছে ফরাসি পুলিশ। 
 
৩৫ বছর বয়সী সন্দেহভাজন ইয়াসিন সালেহি ফরাসি গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, রাসায়নিক প্ল্যান্টে প্রবেশের আগে গাড়ি রাখার জায়গায় ব্যবস্থাপক হার্ভে করনারাকে খুন করেন তিনি। এরপর রাসায়নিক প্ল্যান্টে প্রবেশ করে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন।
 
প্ল্যান্টের ভিতরে খুন হওয়া ৫৪ বছর বয়সী করনারার বিচ্ছিন্ন দেহ ও মাথা খুঁজে পায় পুলিশ, পাশে আরবিতে ইসলামি বাণী লেখা একটি ব্যানারও পাওয়া যায়।
 
রাসায়নিক প্ল্যান্টটির মালিক যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান এয়ার প্রোডাক্ট। এখানে আর কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 
 
সালেহির একটি মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে সেখানে বিচ্ছিন্ন মাথাটির সঙ্গে তার একটি সেলফি পাওয়া যায়। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ছবিটি তুলে কানাডার একটি নাম্বারে সেটি পাঠিয়েছে সে। 
 
কানাডার কর্তৃপক্ষ তদন্তে সহযোগীতা করার কথা নিশ্চিত করেছে।
 
কানাডার ওই নাম্বারটি সেবাস্টিন ইউনুস নামের এক ফরাসি নাগরিকের নামে। এই ব্যক্তি গত বছর থেকে সিরিয়ায় আছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ঘাঁটি রাক্কায় ছিলেন বলে জানা গেছে। 
 
ফরাসি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার কয়েকদিন আগে ভঙ্গুর একটি জিনিস সালেহির কাছ থেকে পড়ে যাওয়া নিয়ে করনারার সঙ্গে সালেহির কথাকাটাকাটি হয়েছিল। 
 
সালেহি গত এক দশক ধরে ইসলামি কট্টরপন্থীদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ফরাসি নিরাপত্তা বাহিনী তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছিল বলে বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 
 
ফ্রান্সের লিয়নের একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ বসবাস করতেন সালেহি। দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর সালেহির স্ত্রী ও তার বোনকে ছেড়ে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। 
 
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সালেহিকে নিয়ে করনারার খুনে স্থান, রাসায়নি প্ল্যান্ট ও সালেহির ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে তদন্ত এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ফরাসি গোয়েন্দারা।