সময়সীমার পরও চলবে ইরানের পরমাণু আলোচনা

ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে  চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হওয়ার চেষ্টায় থাকা ছয় বিশ্বশক্তি ৩০ জুনের সময়সীমার পরও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বলে জানিয়েছেন এক উর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2015, 01:57 PM
Updated : 28 June 2015, 01:57 PM

রোববার উভয়পক্ষের কর্মকর্তারাই বলেছেন, আলোচনায় মতভেদ এখনো আছে।

তবে এর আগে একইদিনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মঘেরিনি বলেছেন, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি অসম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি এও বলেন, সামনে কঠিন দিন অপেক্ষা করছে।

ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে চাইছে বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, চীন ও রাশিয়া।

চুক্তি হলে ইরানকে অন্তত ১০ বছরের জন্য তাদের পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ কমিয়ে আনতে হবে। বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।

গত বছর নভেম্বরে বিশ্বের ছয় শক্তি এ বিষয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। ২ এপ্রিল উভয় পক্ষ একটি খসড়া চুক্তিতে উপনীত হয়। ৩০ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হতে হবে।

চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য শনিবার থেকে সাত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইইউ প্রতিনিধি এবং কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকরা অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় জড় হয়েছেন।

শনিবার ভিয়েনায় পৌঁছানোর পর ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যেহ ফ্যাবিউস বলেছিলেন, মৌলিক কিছু বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হতে না পারায় এখনও চুক্তি অধরাই রয়ে গেছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্টমন্ত্রী জন কেরি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ উভয়ই বলেন, চুক্তিতে উপনীত হতে হলে এখনো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

ভিয়েনা পৌঁছানোর পর মঘেরিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যদি আলোচনার জন্য আরো কয়েকটি দিন প্রয়োজন হয় তবে আমরা তা নেব।”

“খুব কঠিন সময় চলছে…তবে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া অসম্ভব নয়। সবকিছু রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।”

চুক্তির পথে প্রধান বাধাগুলো হচ্ছে, ইরান পারমাণবিক কার্যক্রম কমিয়ে আনলে বিনিময়ে কখন বা কত দ্রুত তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে সে বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হতে পারছে না। তাছাড়া, ইরান চুক্তির কোন প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করছে কিনা সেটি কিভাবে নজরদারি করা হবে তা নিয়েও সমস্যা হচ্ছে।

নির্ধারিত সময়ে মধ্যে চুক্তিতে উপনীত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। তাদের ধারণা, আলোচনা জুলাই মাসেও চলবে।

যদিও জ্যেষ্ঠ একজন পশ্চিমা কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেন, “ঠিক কত সময় লাগবে তা আমি বলতে পারব না। তবে বলতে পারি, আলোচনার সময় বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই।”