গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস এ গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।রোববার দেশটির ৩০০ সদস্যের পার্লামেন্টে অন্তত ১৭৯ এমপি’র ‘হ্যাঁ’ ভোটে প্রস্তাবটি পাশ হয়েছে।
কয়েকশ’ কোটি ইউরো বেইল আউট তহবিল নেয়ার জন্য ঋণদাতাদের দেয়া সর্বসাম্প্রতিক শর্তগুলো গ্রহণ নাকি প্রত্যাখ্যান করা হবে- গণভোট হবে সে প্রশ্নেই।
প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস জনগণকে ‘না’ ভোট দেয়ারই আহ্বান জানিয়েছেন। একটি টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ঋণদাতাদের প্রস্তাব অবমাননাকর। আর তা বাস্তবায়ন করতে হলে গ্রিসকে কঠোর ব্যয়সঙ্কোচন করতে হবে।
বেউল আউট তহবিলের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেয়া আগের শর্তগুলোও প্রত্যাখ্যান করে আসছিল গ্রিক সরকার। কারণ সরকার বলছে, আরো বেশি বাজেট কাটছাঁটের প্রস্তাব পালন করা গ্রিসের পক্ষে কঠিন। শনিবার সিপ্রাস এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।
কিন্তু গ্রিসকে জুনের মধ্যেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) বিরাট অঙ্কের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ফলে গত কয়েকদিন ধরেই ঋণদাতা দেশগুলোর সঙ্গে গ্রিসের আলোচনা চলে আসছে।
আলোচনায় ঋণদাতাদের দেয়া যৌথ প্রস্তাব গ্রিস নাকচ করাতেই গণভোটের পট প্রস্তুত হয়। ইউরোজোনের দেশগুলো গ্রিসের গণভোটের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে।বেই্ল আউটের অর্থ গ্রিসকে দেয়ার সময়সীমা ৩০ জুনের বেশি বাড়াতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা।
ওদিকে, বিবিসি জানিয়েছে, গ্রিসের বিপুল ঋণ পরিশোধের জন্য সেদেশের ব্যাংকগুলোকে জরুরি অর্থ দেয়া বন্ধ করে দিতে পারে ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি)। ব্যাংকটির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র একথা জানিয়েছে।
গ্রিসের ব্যাংকগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে কিনা - এ প্রশ্নে ইসিবি’র রোববার আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। গ্রিক পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রীর গণভোটের প্রস্তাব অনুমোদন পাওয়ার পর ইসিবি এ বৈঠকে ডেকেছে।
আগামী দু’দিনের মধ্যে গ্রিস আইএমএফের ঋণ শোধ করতে না পারলে তারা ঋণখেলাপী হবে। এতে করে দেশটিকে ইউরোজোন থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।
এ ঋণ পরিশোধ করার জন্যই গ্রিস ইউরোপের অর্থ সাহায্য অর্থাৎ, বেইল আউট পাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু এর শর্ত হিসেবে সরকারি ব্যয়ে ব্যাপক কাটছাঁটের প্রস্তাব গ্রিস মানতে না পারায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।