শনিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায় নিউ তাইপে সিটির একটি ওয়টার এমিউজমেন্ট পার্কে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০০ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
কিন্তু রোববার দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা আহতের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা জানান। আহত ১৮০ জন এখনো হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
আহতদের মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডের দুজন নাগরিক ও দুজন বিদেশী রয়েছেন। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে এরা সবাই ওয়টার পার্কটিতে গিয়েছিলেন।
নৃত্য ও সঙ্গীতের এই উৎসবটিতে অংশগ্রহকারীদের উপর রঙিন পাউডারের মেঘ স্প্রে করে ছড়িয়ে দেয়া হয়। একটি রঙিন পাউডার স্প্রে করার সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়।
মূল মঞ্চে ঘটা এ ঘটনার সময় উৎসবে এক হাজারেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তাইওয়ানের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আগুনের শিখা আকাশের দিকে উঠে গেছে, আর মানুষজন হুড়োহুড়ি করে ঘটনাস্থল ছাড়ার চেষ্টা করছেন।
নিউ তাইপে সিটির মেয়র এরিক চু বলেছেন, “যা ঘটেছে তার জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে এবং কারা দায়ী তা খুঁজে বের করবো আমরা।”
তদন্তের সুবিধার জন্য পার্কটি তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা লিন চিয়েহ-য়ু বলেছেন, “পাউডারটি কী কারণে বিস্ফোরিত হল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই পাউডারটির ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
“আগামী কয়েকটি দিন আহতদের জন্য বেশ কঠিন হবে,” বলেছেন তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী মাও চি-কুয়ো।
রোববার পর্যন্ত ৪১০ জন হাসপাতালে ছিলেন এবং এদের মধ্যে ১৯৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিস্ফোরণের পরপরই উদ্ধারকারীরা কয়েকশ লোককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। এদের অধিকাংশের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে বলে জানিয়েছেন তারা।
শরীরের সঙ্গে লাগানো গোসলের পোশাকে আগুন ধরে যাওয়ায় অনেকে গুরুতর আহত হয়েছে, তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় কারো মৃত্যু হয়নি।
উদ্ধারকাজে দমকলের পাশাপাশি সেনা, সেনাবাহিনীর গাড়ি ও মেডিকেল সার্ভিসের লোকজনও যোগ দিয়েছিলেন।