বুধবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের বার্মার (মিয়ানমার) নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা দরকার। এটি দেখানোর জন্য তাদের কাগজপত্রও দরকার।”
তিনি জানান, বুধবারের মধ্যেই সাগরে ভাসমান ৭০০ অভিবাসীকে মিয়ানমার পাড়ে নামিয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।
শুক্রবার অভিবাসী এই নৌকাটিকে খুঁজে পাওয়ার পর থেকে মিয়ানমারের নৌবাহিনী এটিকে পাড়ে না নিয়ে সাগরেই ভাসিয়ে রেখেছে।
সোমবার হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রিত এশীয় তরুণদের সঙ্গে কথা বলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বৈষম্য বন্ধ করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন।
মানব পাচারের শিকার হয়ে সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাগরে ভাসমান এসব উদ্বাস্তুদের মধ্যে কয়েক হাজারকে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় আশ্রয় দেয়ার সুপারিশ করেছেন এবং এদের কিছু অংশকে যুক্তরাষ্ট্রও আশ্রয় দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ওবামা বলেছেন, “আমি মনে করি, দেখতে কেমন ও কী বিশ্বাস করে, এসব কারণে মানুষের ওপর করা বৈষম্যের অবসান ঘটানো (মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গদের সঙ্গে এমন বৈষম্য করা হচ্ছে, যা তাদের পালিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।”
তিনি নিজে রোহিঙ্গা হলে কী করতেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবামা বলেছেন, “আমরা জন্ম যেখানে আমি সেখানেই থাকতে চাইতাম।”
“যে মাটিতে আমার বাবা-মা বসবাস করেছেন সেখানেই থাকতে চাইতাম আমি, তবে আমার সরকার আমাকে সুরক্ষা দিচ্ছে এবং লোকজন আমাকে মুক্তভাবে গ্রহণ করছে, এটিও নিশ্চিত হতে চাইতাম আমি।”
মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের ধীরগতি এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেশটির বর্ণবাদী আচরণে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে ওয়াশিংটন।