কর্মকর্তারা জানান,দুর্ঘটনার পর অন্তত ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। যাদের মধ্যে কয়েকজনকে নিমজ্জিত জাহাজের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।
জীবিত আরোহীদের জিয়ানলী উপশহরের প্রধান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকায় উদ্ধারপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে জাহাজের ক্যাপ্টেন ও প্রধান প্রকৌশলীও রয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ব বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, ইস্টার্ন স্টার নামের চার তলা জাহাজটি জিয়াংসু প্রদেশের নানজিং থেকে দক্ষিণ-পূর্বের শহর চোংকিংয়ে যাচ্ছিল।
স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কোন রকম বিপদ সংকেত না দিয়েই জাহাজটি ডুবে যায়।
ক্যাপ্টেন ও প্রধান প্রকৌশলী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে জাহাজটি ডুবে যায়। ওই সময় বেশিরভাগ যাত্রী ঘুমাচ্ছিলেন।
বিবিসি’র আবহাওয়াবিদ পিটার গিবস বলেন,ওই এলাকায় প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। প্রবল ঝড় ও বাতাসের কারণে উদ্ধারকাজও বিঘ্নিত হচ্ছে।
জাহাজটিতে ৪০৫ যাত্রী, ট্র্যাভেল এজেন্সির ৫ কর্মকর্তা এবং ৪৭ জন নাবিক ছিলেন। যাত্রীদের অধিকাংশই প্রবীণ চীনা পর্যটক,যাদের বয়স ৫০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে বলে জানিয়েছে পিপলস ডেইলি।
উদ্ধার অভিযানে সব ধরনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
গত ৭০ বছরের মধ্যে এটি চীনের সবচেয়ে শোচনীয় দুর্ঘটনায় পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় বেতারের খবরে বলা হয়েছে,ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই জাহাজটি ডুবে গেছে,কোনো বিপদ সঙ্কেত দেয়ার সুযোগও পাওয়া যায়নি।
ডুবে যাওয়া জাহাজটির সাত আরোহী সাঁতরে তীরে উঠে দুর্ঘটনার কথা সবাইকে জানান বলে জানিয়েছে সরকারি মুখপত্র পিপলস ডেইলি।
ডুবে যাওয়া জাহাজটির একটি অংশ পানির উপরে দেখা যাচ্ছে এবং সেখানে নদীর গভীরতা ৫০ ফুট বলে জানিয়েছে দৈনিক হুবেই।
উদ্ধার অভিযানে শতাধিক মাছ ধরার নৌকাসহ কয়েক ডজন জাহাজ অংশ নিচ্ছে। অন্ততপক্ষে ২০ জন ডুবুরী উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন।
ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে কম যাত্রী ছিল। জাহাজটি ৫০০ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ছিল।