সেক্স হরমোন মানুষকে দুর্নীতিপ্রবণ করে

হরমোন কি আমাদের নৈতিকতাকে প্রভাবিত করে? নতুন এক গবেষণা বলছে করে। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে উচ্চমাত্রায় টেসটোসটেরনের (পুরুষের সেক্স হরমোন) উপস্থিতি ব্যক্তিকে বেশি দুর্নীতিপ্রবণ করে তোলে।

>>আইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2015, 05:04 PM
Updated : 1 June 2015, 05:04 PM

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডের লুজান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আরো দেখেন, প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ দুর্নীতিপ্রবণ।  

জন ডালবার্গ-এক্টনের বিখ্যাত উক্তি “ক্ষমতা দুর্নীতির দিকে ধাবিত করে এবং অসীম ক্ষমতা মানুষকে পুরোপুরি দুর্নীতিগ্রস্ত করে তোলে।” গবেষকরা এর পেছনের সত্যকেই আবিষ্কার করেছেন।

গবেষকরা দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় ৭১৮ জন বাণিজ্যের ছাত্রকে গবেষণা কাজের জন্য বাছাই করেন। অংশগ্রহণকারীদের দুই ভাগে ‘ডিক্টেটর গেম’ খেলতে বলা হয়।

প্রথমবারে ১৬২ জনকে নেতা নির্বাচন করা হয় এবং তাদের এক থেকে তিনজন ‘অনুসারী’ দেয়া হয়। নেতাদের হাতে বেশ কিছু অর্থ দেয়া হয় এবং নিজ দলের মধ্যে সেগুলো ভাগ করে দিতে বলা হয়। তাদের নিজের ইচ্ছামত অর্থ যে কাউকে দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়। 

যাদের অনুসারী বেশি, ধরে নেয়া হয় তাদের ক্ষমতা বেশি। দেখা যায়, তারা অনুসারীদের মধ্যে অর্থ কম বিলিয়ে বেশিটা নিজের কাছে রেখে দিয়েছে। দ্বিতীয় বার ২৪০ জন ছাত্র এই খেলায় অংশ নেয়।

কিন্তু এবার খেলা শুরুর আগে গবেষকরা অংশগ্রহণকারীদের শরীরে টেসটোসটেরনের মাত্রা এবং তাদের ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা করেন।

এছাড়া, পরীক্ষার আগে একজন নেতার কত অর্থ প্রয়োজন সেটার ব্যাপারেও ছাত্রদের ভোট দিতে বলা হয়। ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে বেশ কিছু নিয়ম জারি করা হয়। যে ওই নিয়ম লঙ্ঘন করবে তাকে ‘ডিক্টেটর’ খেতাব দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।

কার্যত দেখা যায়, নিয়ম মানার অঙ্গীকার করলেও যেসব নেতাদের ক্ষমতা বেশি তারা তখনো দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। কারণ তারা বরাদ্দকৃত অর্থের বেশিরভাগ অংশ নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিল।

গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের শরীরে টেসটোসটেরনের মাত্রা বেশি তারাই প্রতিশ্রুতি বেশি ভেঙেছে।

অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে টেসটোসটেরন হরমোনের উচ্চ মাত্রার সঙ্গে অসামাজিক আচরণ ও আত্মকেন্দ্রীক মনভাবের যোগসূত্র রয়েছে।