অ্যানথ্রাক্স জীবাণু পাঠানোর আরো ঘটনা আবিষ্কার

ভুল করে অ্যানথ্রাক্স জীবাণু পাঠানোর আরো ঘটনা উদঘাটিত হওয়ায় তাজা এসব জীবাণু কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে তা পরিষ্কার করতে একটি পর্যালোচনার আদেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনী। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2015, 09:13 AM
Updated : 30 May 2015, 09:13 AM

যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি অঙ্গরাজ্য ও দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রোলিয়ার মোট ২৪টি গবেষণাগারে ভুল করে এসব মারাত্মক প্রাণঘাতী সংক্রামক জীবাণু পাঠানো হয়েছে বলে পেন্টগানের বরাত দিয়ে শনিবার জানিয়েছে বিবিসি।  

তবে এতে সাধারণ মানুষের জন্য কোনো ঝুঁকি নেই বলে দাবি করেছে পেন্টাগন। 

দায়িত্বের এ ধরনের গুরুতর অবহেলার ব্যাপক সমালোচনা করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় উন্নতমানের পূর্বসতর্কতা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন জীবাণু অস্ত্র-নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। 

অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত মানুষের চামড়ায় ক্ষত, পাকস্থলীয় গণ্ডগোল, বমি বমি ভাব ও জ্বরে অসুখের লক্ষণ প্রকাশ পায়, ঠিক সময়মতো চিকিৎসা না করলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। 

উটাহ রাজ্যের সামরিক গবেষণাগার থেকে অ্যানথ্রাক্সের তাজা জীবাণু বেশ কয়েকটি জায়গায় পাঠানোর ঘটনাটি প্রথম জানা যায় বুধবার। 

ওইদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানান, ভুল করে তাদের উটাহর গবেষণাগার থেকে টেক্সাস, মেরিল্যান্ড, উয়িসকনসিন, ডেলাওয়্যার, নিউ জার্সি, টেনেসি, নিউ ইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, ভার্জিনিয়ার গবেষণাগারে ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমান ঘাঁটিতে অ্যানথ্রাক্স জীবাণুর নমুনা পাঠানো হয়েছে। 

এসব নমুনা ২০১৪-র মার্চ থেকে ২০১৫-র এপ্রিলের মধ্যে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির এক কর্মকর্তা।  

শুক্রবার পেন্টাগনের পক্ষ থেকে আরো অ্যানথ্রাক্স জীবাণু পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করা হয়। এসব নমুনার একটি অস্ট্রেলিয়াও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

তবে এসব জীবাণু কবে অস্ট্রেলিয়ার পাঠানো হয়েছে তা জানানো হয়নি। 

এরআগে যেসব গবেষণাগার নির্জীব অ্যানথ্রাক্স জীবাণু পেয়েছিল নিজেদের এমন সব গবেষণাগারকে সেগুলো পরীক্ষার আদেশ দিয়েছে সামরিক বাহিনী। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব নমুনা নিয়ে কোনো কাজ না করার নির্দেশ দিয়েছে। 

এসব অ্যানথ্রাক্স জীবাণু বাণিজ্যিক বাহনে করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। 
 যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) ঘটনাটি নিয়ে শুরু করা তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে।