বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক কিম হিউং-কাওয়াং বলেন, উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে প্রায় ছয় হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হ্যাকার রয়েছে।
২০০৪ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে যান অধ্যাপক কিম। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করছেন। গত বছরের আলোচিত সনি পিকচার্স’র ওয়েব সাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনার দায় উত্তর কোরিয়ার বলে ধারণা করা হয়।
তবে এটি শুধুই ‘ধারণা’ বলে দাবি করেছেন কোরিয়ার প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মার্টিন উইলিয়ামস।
উত্তর কোরিয়ার আরো ভয়ঙ্কর সব হামলা রোধে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক কিম।
২০ বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার হ্যামহিউং কম্পিউটার প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন কিম।
যদিও কিম তার ছাত্রদের হ্যাকিংয়ের কৌশল শেখাতেন না। তবে তার সাবেক ছাত্ররাই উত্তর কোরিয়ার কুখ্যাত হ্যাকিং ইউনিট ব্যুরো ১২১ গঠন করেছে। অনেকের ধারণা, এ ব্যুরো চীন থেকে তাদের কার্যক্রম পরিচলনা করে।
বিশ্বব্যাপী বেশকিছু আলোচিত হ্যাকিংয়ের ঘটনার, বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট ও ব্যাংকে হামলার দায় ওই ব্যুরোর।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের উপকণ্ঠে একটি এলাকা থেকে বিবিসি’কে এ সাক্ষাৎকার দেন অধ্যাপক কিম। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার সাইবার অপারেশন বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এমন বেশ কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ আছে।
“উত্তর কোরিয়ার সাইবার-হামলা বিভাগের জনবল দিন দিন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে এবং এখন সেখানে প্রায় ছয় হাজার জন কাজ করছে।”
অধ্যাপক কিমের হিসাব অনুযায়ী, সামরিক বাজেটের ১০ থেকে ২০ শতাংশ ‘অনলাইন অপারেশনে’ ব্যয় করা হয়।
“উত্তর কোরিয়া যেভাবে অন্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক আচরণ করছে তা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় তাদের সাইবার যুদ্ধের সক্ষমতা কতখানি।”
“সামরিক হামলায় যে ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয় সাইবার হামলাও ঠিক একই ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করা সম্ভব। সাইবার হামলার মাধ্যমে নগর ধ্বংস করা এমনকি মানুষ হত্যা করাও সম্ভব।”