হামাসের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে অপহরণ, নির্যাতন ও  বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করার অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2015, 02:59 PM
Updated : 27 May 2015, 02:59 PM

সংগঠনটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজায় ২০১৪ সালের ৮ জুলাই থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত যুদ্ধের সময় হামাস গুরুতর মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে।

ইসরায়েলের সহযোগী হয়ে কাজ করার অভিযোগে ওইসব সাধারণ ফিলিস্তিনের ওপর অত্যাচার চালায় হামাস।

যদিও হামাসের দাবি, অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট এবং এর তথ্য অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সংগ্রহীত।

‘স্ট্র্যাংলিং নেকস’ শিরোনামের ওই তদন্ত প্রতিবেদনে গাজায় ইসলায়েল ও ফিলিস্তিনি বিদ্রোহীদের মধ্যে ৫০ দিনের যুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “ওই সময় ইসরায়েলি বাহিনী গাজার জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের ধ্বংস ও হত্যা করতে শুরু করে। এ সুযোগে হামাস ওই কর্মকাণ্ড চালায়।”

যদিও হামাসের মুখপাত্র ফাওয়াজি বারহুম বিবিসিকে বলেন, “অ্যামনেস্টির তদন্ত চলাকালে হামাসের কোন বক্তব্য শোনা হয়নি। তারা বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এ কারণেই প্রতিবেদনটির নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং এখানে পেশাদারিত্বের অভাব ছিল।”

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৫০ দিনের ওই যুদ্ধে অন্তত ২,১৮৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১,৪৮৬ জনই বেসামরিক নাগরিক ছিল। এছাড়া, আরো ১১ হাজার মানুষ আহত হয়।

অন্যদিকে, ওই যুদ্ধে ইসরায়েলের ৬৭ সেনা এবং ছয় জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়।

অ্যামনেস্টি তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে ইসরায়েল ও গাজা ভিত্তিক ফিলিস্তিনের বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর কড়া সমালোচনা করেছে। মানবাধিকার সংগঠনটির অভিযোগ, যুদ্ধের সময় উভয় পক্ষই চরম মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে।

কিন্তু ইসলায়েল ও ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।