বিবিসি বলছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশে দাবদাহে সবচে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গেল সপ্তা থেকে এ পর্যন্ত ওই অঞ্চল দুটিতে অন্ততপক্ষে ১১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে, দাবদাহে পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যায় অন্ততপক্ষে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে কয়েকদিনের মধ্যেই কোনো কোনো এলাকায় গরমের তীব্রতা কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
হাসপাতালগুলো হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে।
এরআগে অসহনীয় গরমে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশে নতুন করে আরো ৯০ জনের মৃত্যু নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৮শ’ ছাড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছিল।
সোমবার তেলেঙ্গানা রাজ্যের হানামকন্দা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।রাজ্যটির অধিকাংশ এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি ।
অন্ধ্র প্রদেশের তিন জেলা কাকিনাদা, মাচিলিপাতনাম ও তুনিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ডকরা হয়।
কর্তৃপক্ষ জনগণকে ঘরের ভেতরে অবস্থান করাসহ প্রচুর তরল পান করার পরামর্শ দিয়েছে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকেই তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশে দাবদাহ শুরু হয়। কিন্তু গেল এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
অন্ধ্র প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পি. তুলসি রানি বলেন, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা সরাসরিপ্রখর রোদের সংস্পর্শে এসেছে তারা দাবদাহের শিকার হয়েছে। এছাড়া, ৫০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তিএবং যারা দিনমজুর তারা দাবদাহে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।”
“আমরা জনগণকে সুরক্ষা ব্যবস্থা যেমন: ছাতা ও টুপি ব্যবহার করা, প্রচুর পরিমাণ পানি ও তরল পান করা এবং সুতি কাপড় পরার পরামর্শ দিয়েছি।”
বৃষ্টি কম হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর ।
এর আগে শুক্রবার উড়িষ্যা সরকার সেখানে ২৩ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়ও গরমে বেশ কয়েকজনের
মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।