মৃত মানুষের হাড়গোড় আর পচে-গলে যাওয়া লাশ পাওয়া যাচ্ছে এসব কবরে। এদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা। শত শত মৃতদেহ পাওয়া যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার একঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে একদল সাংবাদিককে নিয়ে যান গভীর জঙ্গলের একটি পাচার শিবিরে। শিবিরটির অবস্থানই বলে দেয় এটি ছিল পাচারকারীদের ভয়াবহ আদমব্যবসার মোক্ষম জায়গা।
পাচারকারীরা তড়িঘড়ি শিবিরটি ছেড়ে গেছে বলেই ধারণা পুলিশের। শিবিরটিতে নির্যাতন এবং ভয়াবহতার ছাপ খুবই স্পষ্ট। এর কিনারে কিনারে পচা লাশের গন্ধ।পাওয়া গেছে কাঠ এবং কাঁটাতারের খাঁচাও। যেগুলোতে অভিবাসীদের আটকে রাখা হত বলেই মনে করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার পুলিশ এবং ফরেনসিক টিম সেখানে কবর থেকে লাশ খুঁড়ে তোলার পক্রিয়া শুরু করে।
৩৭ টি কবরের মধ্যে একটি থেকে মঙ্গলবার বিকালে কাপড়ে মোড়া প্রথম লাশটি তোলা হয় বলে জানিয়েছেন রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী। মৃতদেহটির অবস্থা কেমন এবং কতক্ষণ লাশটি সেখানে ছিল তা জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে কবরটিতে আরো দেহ থাকতে পারে বলে জানান তিনি। কাছেই মাটিতে পড়ে পাওয়া যায় মানুষের চোয়ালের দাঁতের পাটি।
কর্তৃপক্ষ সীমান্ত এলাকায় ২৮ টি পাচারশিবিরে প্রায় ১৪০ টি অগভীর কবর পেয়েছেন। জঙ্গলের এ শিবিরগুলোতে মুক্তিপণের জন্য অভিবাসীদের আটকে রাখা হত এবং মারা যাওয়াদের ১৩৯ টি কবরে সমাহিত করা হয়েছে বলে ধারণা কতৃপক্ষের।
স্থানীয় বন কর্মকর্তারা মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।