দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে তাইওয়ানের শান্তি প্রস্তাব 

দক্ষিণ চীন সাগরে আঞ্চলিক সীমানা নিয়ে বেইজিং ও প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে একটি শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে তাইওয়ান। 

>>রয়টার্স
Published : 26 May 2015, 10:12 AM
Updated : 26 May 2015, 10:12 AM

প্রেসিডেন্ট মা য়িং-জেওউর দেয়া মঙ্গলবারের শান্তি প্রস্তাবটি ওই অঞ্চলে বিদ্যমান উত্তেজনা নিরসন করবে বলে দাবি করেছে দেশটি। 
 
এই দিন তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে একটি আন্তর্জাতিক আইন সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় মা বলেন, “বড় ধরে ধরনের কোনো সংঘাত শুরু হওয়ার আগেই দক্ষিণ চীন সাগরের জলপথে জাহাজা চলাচল ও আকাশপথে বিমান চলাচলের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখানোর দাবি করছি আমরা।” 
 
মা-য়ের বক্তব্যের পর তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি মূল ভূখণ্ড-পক্ষ (চীন) দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে শান্তি উদ্যোগের উদ্দেশ্য ও নীতি অনুধাবণ করবে।” 
 
কিন্তু দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশ এলাকার মালিকানার দাবিদার চীন পরিকল্পনাটি গ্রহণ করবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগেও বিষয়টি নিয়ে বহুপাক্ষিক আলোচনার একাধিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে চীন। 
 
এছাড়া মা-য়ের বক্তব্যে তাইওয়ানের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগও প্রতিফলত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 
 
সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কৃত্রিমভাবে তৈরি করা একটি দ্বীপের আকাশপথ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বিরোধ দেখা দিয়েছে।
 
দক্ষিণ চীন সাগরের জলভাগ নিয়ে চীন, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান ও ব্রুনেইয়ের দাবিকৃত অঞ্চলগুলোর মধ্যে পরস্পরের দাবিকৃত এলাকা অন্তর্ভুক্ত আছে। বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই সাগর দিয়ে প্রতিবছর পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারমূলের পণ্য জাহাজযোগে পরিবাহিত হয়। 
 
এছাড়া সাগরের স্পার্টলি দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় খনিজ তেল ও গ্যাসের মূল্যবান সঞ্চয় আছে বলে ধারণা করা হয়। 
 
মালিকানা নিয়ে এসব বিরোধে তাইওয়ান এ পর্যন্ত তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা পালন করেনি। 
 
চীনের সঙ্গে বিরোধের ইস্যুগুলোতে তাইওয়ানের সুর নরম হলেও দক্ষিণ চীন সাগরে দেশটির কোস্ট গার্ড ও সামরিক বাহিনীর স্থাপনা রয়েছে। সাগরের বিরোধপূর্ণ স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় দ্বীপ তাইপিংয়ে (ইতু আবু নামেও পরিচিত) দেশটির একটি বিমান উড্ডয়ন-অবতরণ কেন্দ্র আছে। এছাড়া দ্বীপটিতে একটি বন্দরের নির্মাণ কাজও শেষ পর্যায়ে আছে।  
 
১৯৪৯ সালে চীনের গৃহযুদ্ধে কমিউনিস্টদের কাছে জাতীয়তাবাদীদের পরাজয়ের পর পরাজিতরা চীনা মালিকানাধীন দ্বীপ তাইওয়ানে পালিয়ে যায়। 
 
তারপর থেকে জাতীয়তাবাদীদের অধীনে তাইওয়ান প্রায় একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মতোই পরিচালিত হয়ে আসছে। 
 
তবে দ্বীপটিকে নিজেদের একটি প্রদেশে হিসেবেই বিবেচনা করে চীন।