সোমবার সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় আল কাতিফ প্রদেশে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কাতিফের আল-কাদেহ গ্রামের ইমাম আলি মসজিদে চালানো ওই আত্মঘাতী হামলায় ২১ জন মুসুল্লি নিহত হন, যাদের সবাই শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত।
শিয়া অধ্যুষিত কাতিফের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে জানাজায় যোগ দেয়। জানাজার সময় সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি থেকে দূরে অবস্থান করে।
জানাজা শেষে ফুলে ঢাকা ২১টি কফিন নিয়ে গোরস্থানে যায় যোগদানকারীরা। এ সময় ‘এখানে আমি, ও হুসেন,’ বলে স্লোগান তোলে লাখো মানুষ।
লাশগুলো কবর দেয়ার সময় অধিকার আন্দোলনকারীরা সৌদি আরবের প্রখ্যাত অধিকার আন্দোলনকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্য মিখলিফ আল-শামারির একটি ছবি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। ছবিতে মিখলিফ একটি প্ল্যাকার্ড ধরে আছেন, তাতে লেখা, “সাম্প্রদায়িক উসকানি একটি টাইম-বোমা”।
দুই মাস ধরে প্রতিবেশি ইয়েমেনের শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের উপর সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সুন্নি আরব দেশগুলোর জোট বাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে আসছে। এই ঘটনায় সৌদি আরবে শিয়া-সুন্নি সম্পর্কে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এরই মধ্যে শুক্রবার শিয়াদের উপর ভয়াবহ এ আত্মঘাতী হামলা চালানো হল।
রোববার এক সহানুভূতিমূলক বিবৃতিতে সৌদি বাদশা সালমান বলেছেন, এই বোমা হামলায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে এই হামলার সঙ্গে জড়িত ও এর প্রতি সহানুভূতিশীল সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
সুন্নি সংখ্যাগুরু সৌদি আরবে শিয়াদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয় বলে অভিযোগ সংখ্যালঘু শিয়াদের। তবে সৌদি সরকার বরাবরই অভিযোগটি অস্বীকার করে আসছে।
লাশ নিয়ে গোরস্থানে যাওয়ার পথের পাশে কাতিফের বাসিন্দারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। এসব প্ল্যাকার্ডে সাম্প্রদায়িকতার নিন্দা জানিয়ে সমতার দাবি জানানো হয়েছে।
সুন্নিদের পরিচালিত কয়েকটি কট্টরপন্থী টেলিভিশন চ্যানেলও বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। এসব চ্যানেলে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানো হয় বলে অভিযোগ শিয়াদের।