সিরিয়ার প্রয়োজনমতো উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণা হিজবুল্লাহর

পুরো সিরিয়াজুড়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সেনাবাহিনীর পাশাপাশি থেকে লড়াই করা লেবানের শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রয়োজনমতো দেশটিতে নিজেদের উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। 

>>রয়টার্স
Published : 25 May 2015, 09:06 AM
Updated : 25 May 2015, 09:06 AM

রোববার হিজবুল্লাহর হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশ্যে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে দেয়া এক বক্তৃতায় এ প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির নেতা সৈয়দ হাসান নসরাল্লাহ। 
 
সিরিয়ায় আল কায়েদার শাখা নুসরা ফ্রন্ট এবং অতি-কট্টরপন্থী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইকে নসরাল্লাহ ‘বৃহত্তর কৌশলের’ অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। 
 
২০০০ সালে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহারের বার্ষিকীতে দেয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, “যখনই দরকার হবে আমাদের উপস্থিতি বাড়ানো হবে, হা, সিরিয়ার একটি এলাকায় আমাদের উপস্থিতি নেই, সেখানে তাদেরও উপস্থিতি নেই। আমরা সিরিয়ার সব জায়গায় উপস্থিত হব।”
 
ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ প্রেসিডেন্ট আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র। গত চার বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে গোষ্ঠীটি আসাদের পক্ষ হয়ে লড়াই করছে। 
 
এই লড়াইটি ক্রমেই শিয়া তেহরান ও সুন্নি সৌদি আরবের মধ্যে একটি ছায়া যুদ্ধে পরিণত হচ্ছে। আসাদকে সমর্থন দিচ্ছে তেহরান, অপরদিকে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে সৌদি আরব ও মিত্র আরব দেশগুলো। 
 
নাসারাল্লাহ আরো বলেছেন, লেবানন-সিরিয়া সীমান্তের কালামউন এলাকায় হিজবুল্লাহর চালানো অভিযান ‘সীমান্ত এলাকা নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত চলবে’। 
 
ওই এলাকার বাসিন্দারা ‘বেকা ও আরসাল এলাকায় সন্ত্রাসী ও তাকফিরিদের উপস্থিতি মেনে নেবে না’ বলে দাবি করেছেন তিনি। কট্টরপন্থী সুন্নি মুসলিমদের ‘তাকফিরি’ বলে শিয়ারা, অপরদিকে শিয়াদের ‘খারিজি’ বলে কট্টরপন্থী সুন্নিরা। একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইকে বৈধতা দেয়ার জন্য এই বর্ণনাকে সবসময় সামনে নিয়ে আসে উভয়পক্ষ। 
 
১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত লেবানন নিজেই গৃহযুদ্ধের মোকাবিলা করেছে। দেশটির কর্মকর্তারা সীমান্তের দুই পাশে অভিযান চালানোর ব্যাপারে হিজবুল্লাকে সতর্ক করেছে। তাদের ধারণা, এতে শিয়া-সুন্নি লড়াইয়ের রূপ নেয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ তাদের দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।