সোমবারের এ ভূমিকম্পের উৎস টোকিওর উত্তরপূর্ব কোনের ইবারাকি জেলায় ছিল বলে জানিয়েছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা।
ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ওই এলাকার পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকেও কোনো অস্বাভাবিকতার খবর পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার হিসাবে ভূমিকম্পটি মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩ ।
ভূমিকম্পে টোকিওর বহুতল ভবনগুলো কেঁপে উঠে ও নগরের মেট্রো সাবওয়ে লাইনসহ বেশ কয়েকটি লাইনে কিছু সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল থেমে যায়।
ভূমিকম্পের পরপরই পরীক্ষার জন্য নারিতা বিমানবন্দরের উভয় রানওয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়, কিন্তু রাজধানীর হেনেদা বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।
জাপান বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। ২০১১ সালের ১১ মার্চ এক প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট সুনামিতে দেশটির অন্ততপক্ষে ২০ হাজার মানুষ নিহত হন।
ভূমিকম্প ও সুনামিতে দেশটির ফুকুশিমা দাইইচি নিউক্লিয়ার প্রকল্পের কয়েকটি চুল্লি গলে গিয়ে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়।