নিউ জার্সির পুলিশ জানিয়েছে, একটি ট্যাক্সিতে করে ন্যাশ ও তার স্ত্রী কোথাও যাচ্ছিলেন। এ সময় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ট্যাক্সি চালক। একটি গার্ড রেলের সঙ্গে গাড়িটি ধাক্কা লাগলে দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত্যুকালে ন্যাশের বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। আর তার স্ত্রীর অ্যালিসিয়া ন্যাশের ৮২ বছর। দুর্ঘটনার সময় খুব সম্ভবত তাদের সিট বেল্ট বাঁধা ছিল না বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
গেম থিওরির ওপর কাজ করে খ্যাতি কুড়ানো ন্যাশ ১৯৯৪ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছিলেন।
২০০১ সালে জন ন্যাশের জীবন কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয় অস্কারজয়ী ‘এ বিউটিফুল মাইন্ড’ চলচ্চিত্র। গণিতে ন্যাশের অসাধারণ দক্ষতা এবং সিজোফ্রেনিয়ার সঙ্গে তার লড়াইয়ের কাহিনীই ছিল চলচ্চিত্রটির মূল উপজীব্য। ছবিতে ন্যাশের চরিত্রে অভিনয় করেন রাসেল ক্রো।
ন্যাশের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর ক্রো টুইটারে লেখেন, “আমি স্তব্ধ…. জন, অ্যালিসিয়া ও তাদের পরিবারের কথা ভেবে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। সুন্দর মন, সুন্দর হৃদয়।”
১৯৫৭ সালে ন্যাশ বিয়ে করেছিলেন অ্যালিসিয়া লার্ডেকে। গণিত জগতে সে সময় ন্যাশ ছিলেন উদীয়মান তারকা। কিন্তু বিয়ের পরপরই তিনি মারাত্মক সিজোফ্রেনিয়ায় ভূগতে শুরু করেন।
১৯৬২ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে ন্যাশ দম্পতির। তবে তারা একে অপরের কাছাকাছিই ছিলেন। ১৯৮০’র দশকে ন্যাশের মানসিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করলে ২০০১ সালে দুইজন আবারো বিয়ে করেন।
এ সপ্তাহের শুরুতে ন্যাশ আবেল প্রাইজ লাভ করেছিলেন। গণিত অঙ্গনে যা অত্যন্ত সম্মানজনক পুরস্কার।