যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ দায়িত্বজ্ঞানহীন, বিপজ্জনক: চীন

দক্ষিণ চীন সাগরের যে এলাকায় চীন কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করছে, তার ওপরের আকাশে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিমানের নজরদারিতে ‘চরম অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছে চীন।

>>রয়টার্স
Published : 23 May 2015, 07:31 AM
Updated : 23 May 2015, 07:31 AM

শুক্রবার চীন যুক্তরাষ্ট্রকে এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে, অন্যথায় এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে বলে হুঁশিয়ার করেছে।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পোসেইডন গোয়েন্দা বিমান ওই বিরোধপূর্ণ এলাকাটির ওপর দিয়ে ঘোরাফেরার সময় চীনা নৌবাহিনী বিমানটিকে ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য আটবার সতর্ক করে।

পেন্টাগনের আমন্ত্রণে ওই গোয়েন্দা বিমানে সিএনএন-এর একটি টিমও ছিল। পেন্টাগনের এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্তে বিষয়টি আরো সামনে চলে আসে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হং লেই বলেছেন, নির্দেশমতো চীনা সামরিক বাহিনী ওই বিমানটিকে ভাগিয়ে দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে তিনি চীনের দ্বীপগুলো ও রিফের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বর্ণনা করেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এই ধরনের পদক্ষেপ সম্ভাব্য দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। এটি অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক পদক্ষেপ। এসব পদক্ষেপে এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিপন্ন হতে পারে।”

“এ বিষয়ে আমরা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করছি। যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক ধারা কঠোরভাবে মেনে চলার এবং ঝুঁকি ও উস্কানিমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

“সন্নিহিত এলাকাটি চীন ধারাবাহিক নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং কোনো সাগর ও আকাশ দুর্ঘটনার ক্ষতি থেকে চীনের দ্বীপগুলো ও রিফগুলোকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের মুখপাত্র স্টিভ ওয়ারেন বলেছেন, “ওই দ্বীপগুলোকে আন্তর্জাতিক সীমানার ভিতরে ছাড়া অন্যকিছু ভাবছি না আমরা। ওইপথে ওড়া পরিবর্তন করার কোনো সম্ভাবনা নেই। ২০ বছর ধরে আমরা যেভাবে ওই পথে আসা-যাওয়া করেছি আগামীতেও তাই করবো।”

‘কয়েকদিন পরপরই এটি ঘটবে’ জানিয়ে তিনি দাবি করেছেন, যে কৃত্রিম দ্বীপটির চারপাশের এলাকাকে চীন তার অঞ্চলগত সীমানা বলে দাবি করছে তার ১৯ কিলোমিটারের মধ্যে পোসেইডন বিমানটি যায়নি।