শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে আসা মুসুল্লিতে পূর্ণ ওই শিয়া মসজিদটিতে হামলায় ২১ জন নিহত হন।
সৌদি আরবে চালানো এটিই প্রথম হামলা যার দায় স্বীকার করলো আইএস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকট ওই বিস্ফোরণের সময় কাতিফ জেলার আল-কাদেহ গ্রামের ইমাম আলি মসজিদটিতে ১৫০ জনেরও বেশি মুসুল্লি ছিলেন।
নামাজরত অবস্থায় বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এই হামলায় ৯০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানিয়েছেন সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দুই মাস ধরে ইয়েমেনের শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা চালাচ্ছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আরব জোট বাহিনী। এই হামলাকে কেন্দ্র করে সৌদি আরবে শিয়া-সুন্নি উত্তেজনা চরম পর্যায়ে রয়েছে।
অনলাইনে পোস্ট করা এক ভিডিওতে বোমা হামলার পর মসজিদটির ভিতরে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তা ফুটে উঠেছে।
ধোঁয়া ও ধুলায় আচ্ছন্ন মসজিদটির ভিতরে রক্তাক্ত মেঝেতে পড়ে কাতর কণ্ঠে চিৎকার করছেন আহতরা, চারপাশে কাঁচের টুকরা ও ধসে পড়া কংক্রিটের মধ্যে নিহতদের লাশ পড়ে আছে।
মুসুল্লি কামাল জাফর হাসান ফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “নামাজের প্রথম রাকাত পড়ার সময়ই আমরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই।”
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী এসআইটিই তাদের ট্যুইটার একাউন্টে আইএসের বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আইএসের এক আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরক ঠাসা বেল্ট ব্যবহার করে হামলাটি চালিয়েছেন।
হামলার ২৫০ জন নিহত বা আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি।
হামলাকারী জঙ্গিকে আবু ‘আমর আল-নেজদি’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।