‘যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় অভিযুক্ত ৬ পুলিশ কর্মকর্তা’

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের ছয় পুলিশ কর্মকর্তার সবাইকে এক কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন শহরটির গ্র্যান্ড জুরি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2015, 09:03 AM
Updated : 22 May 2015, 09:03 AM

বিবিসি বলছে, শহরটির প্রধান আইন  কর্মকর্তা মেরিলিন মসবি বৃহস্পতিবার পুনর্বিবেচিত এই অভিযোগ ঘোষণা করেন।  তবে সবচে গুরুতর অভিযোগ সেকেন্ড ডিগ্রি খুনের অভিযোগ এখনো অপেক্ষমান।

গ্র্যান্ড জুরি কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কারাগারে প্রেরণের অভিযোগ আনেননি। যদিও মসবি গ্যারির গ্রেপ্তার অহেতুক ও বেআইনি বলে ওই অভিযোগ এনেছিলেন।

বাল্টিমোরের পুলিশ ইউনিয়ন মেরিলিন মসবিকে এই মামলার প্রক্রিয়া থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

কিন্তু মসবি পুলিশ ইউনিয়নের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে এই মামলা থেকে নিজেকে প্রত্যাহারে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

তবে তিন সপ্তা আগে ঘোষিত প্রকৃত অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন নতুন কোনো অভিযোগ আনেননি গ্র্যান্ড জুরি।

মসবি বলেছিলেন, গ্যারিকে হাতকড়া পরিয়ে পুলিশভ্যানে তোলার পর তার ঘার ভেঙ্গে গিয়েছিল। বারবার গ্যারি চিকিৎসার আবেদন জানালেও পুলিশ তা উপেক্ষা করে গেছে।

২ জুলাই এই পুলিশ কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে মেরিলিন মসবি ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ ঘোষণার পর পুলিশ কর্মকর্তাদের একজন আইনজীবী বলেছিলেন, “তারা অন্যায় কিছু করেননি।”

১২ এপ্রিল ২৫ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ ফ্রেড্ডি গ্রেকে গ্রেপ্তারের পর নিজেদের ভ্যানে তুলেছিল পুলিশ। ওই ভ্যানেই ঘাড়ে গুরুতর আঘাত পান গ্রে। এরপর তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে এক সপ্তাহ অজ্ঞান থাকার পর ১৯ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।

গ্রের মৃত্যুর ঘটনায় বাল্টিমোরজুড়ে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার জেরে কয়েক দশকের মধ্যে শহরটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে, যা পরবর্তী দুইদিন ধরে চলে।

এ ঘটনা কৃষ্ণকায়দের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের আচরণ নিয়ে বিরাজমান ক্ষুব্ধতায় নতুন মাত্রা যুক্ত করে।

দাঙ্গার কারণে শহরজুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি সান্ধ্য আইন জারি করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

মসবি দাবি করেছিলেন, গ্রেপ্তারের সময় গ্রের হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ও তার পায়ে বেঁড়ি পড়ানো হলেও গাড়িতে তোলার পর তার সিটবেল্ট বেঁধে দেয়া হয়নি। এতে গাড়ি চলার সময় তিনি ঘাড়ের মেরুদণ্ডের হাড়ে গুরুতর আঘাত পান।

যে ছয়জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে

তাদের তিনজন কৃষ্ণাঙ্গ ও অপর তিনজন শ্বেতাঙ্গ। এদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও অপরজন নারী।