জাকার্তায় এক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেন।
তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলের ৯০ শতাংশ এলাকাই নিজেদের বলে দাবি করেছে। ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম এবং তাইওয়ানও ওই অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে আসছে।
কিন্তু সম্প্রতি স্যাটেলাইটে তোলা ছবিতে বিতর্কিত ওই অঞ্চলে চীনের দ্রুত অগ্রগতি চোখে পড়েছে। বিতর্কিত দ্বীপে এমনটি সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের উপযোগী একটি বিমানঘাঁটি তৈরি করছে চীন। আরেকটি ঘাঁটিও বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বুধবার ব্লিনকেন বলেন, সার্বভৌম ভূমি পেতে চাওয়ার পাশাপাশি নতুন করে সমুদ্রসীমা টেনে দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসা চীন আঞ্চলিক আস্থা বিনষ্ট করছে এবং বিনিয়োগকারীদেরও আস্থা ক্ষুন্ন করছে।
তিনি আরো বলেন, “তাদের আচরণে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হচ্ছে। আর তা হল বড় দেশগুলো অবাধে ছোট দেশগুলোকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে করে উত্তেজনা উস্কে উঠছে, দেখা দিচ্ছে অস্থিতিশীলতা। ফলে পরিস্থিতি এমনকি সংঘর্ষেও রূপ নিতে পারে।”
এর আগে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি চীনকে উত্তেজনা কমাতে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাত সৃষ্টি হয়।চীন পরিষ্কার জানিয়ে দেয় যে তারা তাদের স্বার্থ রক্ষায় অটল।
তাছাড়া, ব্লিনকেনের বক্তব্যের জবাবেও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার বলেছে, তার বক্তব্য ওই অঞ্চলে আস্থা বিনষ্ট করছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের উচিত দক্ষিণ চীন সাগরের পক্ষ না নেয়ার নীতি মেনে চলা।
যুক্তরাষ্ট্র যা ধারণা করছে তার কোনো ভিত্তি নেই বলে নিয়মিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্তব্য করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হং লেই।