বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাগরে আটকা পড়াদের জন্য স্থল ও সাগর পথে মানবিক সহায়তা দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
সাগর পথে পাচারের শিকার অভিবাসীদের নৌকাগুলিকে তীরে ভিড়তে না দিয়ে তাদেরকে মালয়েশিয়ার জলসীমা থেকে তাড়ানো শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর এই ঘোষণা দিলেন মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে জাতিসংঘের আহ্বানের পর বুধবার কুয়ালালামপুরে জরুরি বৈঠক করে সাগরে ভাসমান প্রায় সাত হাজার মানুষকে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
ওই বৈঠকে থাইল্যান্ড অংশ নিলেও অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে দেশটির পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।
সেইসঙ্গে এ সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক মহলের সহায়তা চেয়েছে দেশ দুটি।
মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এসব অভিবাসীদের এক বছরের জন্য আশ্রয় দেবে। এর পর আন্তর্জাতিক সহায়তায় এসব অভিবাসীকে অন্য কোনো দেশে আবাস খুঁজে নিতে হবে।
নাজিব রাজাক তার ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ক্ষুধার্ত ও অসুস্থকে সহায়তা দেওয়া ‘মৌলিক মানবিক সহমর্মিতা’।
তিনি বলেন, ‘প্রাণহানি ঠেকাতে’ দেশের নৌ ও সমুদ্রসীমা কর্তৃপক্ষকে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাতে হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবারের অগ্রগতির পর মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফাহ আমান ও ইন্দোনেশিয়ার রেত্নো মারসুদি মিয়ানমারের পরররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ উনা মং লিনের সঙ্গে দেশটির রাজধানী নে পি দোতে আলোচনা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিংকেন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য আসার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবারের এই বৈঠককে যুগান্তকারী ভাবা হচ্ছে। কারণ দীর্ঘ দিন ধরে এই সংকটের দায় নিতে অস্বীকার করে আসছে দেশটি। এমনকি অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া বুধবারের বহুদেশীয় আঞ্চলিক বৈঠকেও অংশ নেয়নি মিয়ানমার।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, তারা এসব অভিবাসীদের সহায়তা দিতে প্রস্তুত এবং তাদের পুনর্বাসনে বহুদেশীয় প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেবে।
বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মেরি হার্ফ বলেন, “আমরা এর মধ্যেই এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করেছি।
“জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) উদ্যোগে সংগঠিত প্রচেষ্টায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নিতে আমরা প্রস্তুত। আমরা অবশ্যই সবার দায়িত্ব নিজেরা নিতে পারব না। তবে এই প্রচেষ্টায় আমরা নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নিতে প্রস্তুত।”