বুধবার শহরের অধিকাংশ বেসামরিক বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়ার পর সরকারি বাহিনীগুলো শহরটি ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
এই প্রথম সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও তাদের মিত্র বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকা কোনো শহর সরাসরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিল আইএস। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির উত্তরপশ্চিমে ও দক্ষিণে অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কাছেও কয়েকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীগুলো।
তাদমুর নামেও পরিচিত সিরিয়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলের শহর পালমিরার প্রাচীন অংশটি দুই হাজার বছরের পুরনো। এখানকার ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো গত দুই হাজার বছর ধরে টিকে আছে।
সিরিয়ার প্রতিবেশী ইরাকে আইএস ঐতিহাসিক অনেক প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করেছে। পালমিরাও জঙ্গিগোষ্ঠীটির বর্বরতার শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইএসের যোদ্ধারা শহরটির প্রাচীন অংশে প্রবেশের চেষ্টা করছিল বলে এর আগে জানিয়েছিল সিরীয় টেলিভিশন।
সিরিয়ার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান মামুন আব্দুলকরিম শহরটির ঐতিহাসিক অংশটির স্থাপনাগুলো রক্ষার পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শহরটি থেকে কয়েকশত প্রাচীন মূর্তি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন তিনি।
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর সঙ্গে রাজধানী দামেস্ককে সংযুক্তকারী প্রধান সড়কের মধ্যেই পালমিরার অবস্থান। আধুনিক সামরিক স্থাপনা সমৃদ্ধ শহরটি তাই সমর কৌশলগতভাবেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর অধিকাংশই বিদ্রোহীদের দখলে আছে।
পালমিরা এলাকা থেকে ইন্টারনেটে আইএসের এক যোদ্ধা বলেছেন, “আল্লাহর রহমতে এটি স্বাধীন হয়েছে।”
তিনি জানিয়েছেন, শহরের যে হাসপাতালটি সিরীয় বাহিনীগুলো ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতো তা এখন আইএসের নিয়ন্ত্রণে আছে।
শহরটির প্রায় পুরোটাই আইএসের দখলে চলে গেছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী ‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’।