‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ এবং ‘সেফগার্ডিং হেল্থ ইন কনফ্লিক্ট কোয়ালিশন’ এর যৌথ প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের বার্ষিক এক বৈঠকে বুধবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। ১৮ মে থেকে এ বৈঠক শুরু হয়েছে, চলবে ২৬ মে পর্যনত। এতে দুই ডজন বেসরকারি সংগঠনও অংশ নিচ্ছে।
২২ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন হামলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
গত একবছরে অস্ত্রধারীরা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এরকম ৪১টি হামলার ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তানে। ওই সব হামলায় ৪৫ জনের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন। এছাড়া, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানে পোলিও টিকাদান কর্মীদের ওপরও বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সিরিয়ার আলেপ্পোয় একটি হাসপাতালে দেশটির সরকারি বাহিনী ব্যারেল বোমা হামলা চালিয়েছে। সেখানে ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৯৪ জন চিকিৎসাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং ১০৪টি স্থায়ী ও ভ্রাম্যমান চিকিৎসা কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রধান লিওনার্দো বুবেনস্টেইন বলেন, “স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোকে ডিসেম্বরে একটি সাধারণ সমাবেশের যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে সাধারণ পরিষদ।”
“তবে স্বাস্থ্য খাত যেভাবে হামলার শিকার হচ্ছে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর যে ধরনের নৃশংসতা চালানো হচ্ছে তা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে আরো অনেক কিছু করতে হবে।”
বিভিন্ন দেশের সরকার ও বিদ্রোহী দলগুলোকে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে বৈঠকে।