৭,০০০ অভিবাসীকে আশ্রয় দেবে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া

মানব পাচারের শিকার হয়ে সমুদ্রে ভাসমান ৭ হাজার ‍মানুষকে সাময়িকভাবে আশ্রয় ‍দিতে রাজি হয়েছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2015, 02:40 PM
Updated : 20 May 2015, 04:39 PM

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুরে এ সংক্রান্ত এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠকে থাইল্যান্ডও অংশ নিয়েছে। তবে অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।

অভিবাসীদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত মানব পাচারকে নতুন করে উৎসাহিত করে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া সরকার।

যদিও তারা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এ আশ্রয় পুরোপুরি সাময়িক এবং তারা এর চাইতে বেশি আর কাউকে দেশে ভীড়তে দেবে না।

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফাহ আমান বলেন, “শুরুতেই আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই যারা শুধুমাত্র গভীর সমুদ্রে ভাসছে আমরা তাদেরই আশ্রয় দেব। তবে এমন ভাবার কোন কারণ নেই যে, তারা (শরণার্থীরা) আসতেই থাকবে আর আমরা প্রত্যেককে আশ্রয় দেব।”

এ মাসে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় তিন হাজারের বেশি অভিবাসী আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েটি নৌযান সমুদ্রে ঠেলে দিয়েছে।

জাতিসংঘ ওই তিন দেশের সরকারের কাছে অসহায় ওইসব শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ওইসব অভিবাসীকে সাময়িকভাবে আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে। সেইসঙ্গে এ সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তারা আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহায়তা চেয়েছে। 

সমুদ্রে ভাসামান এসব অভিবাসীর অধিকাংশই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম এবং বাংলাদেশি।

কুয়ালালামপুরে বৈঠকে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব দিচ্ছি। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা আন্তর্জাতিক মহলের সহায়তায় আগামী এক বছরে সম্পন্ন হবে।”

অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক সহায়তায় আগামী এক বছরের মধ্যে এসব অভিবাসীকে অন্য কোন দেশে আবাস খুঁজে নিতে হবে।

জাতিসংঘ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এবং ‘কোন রকম দেরি না করে’ সমুদ্র থেকে অসহায় মানুষগুলোকে উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমান বলেন, অস্থায়ী আশ্রয় শিবির স্থাপন করা হবে, কিন্তু থাইল্যান্ডে কোন শিবির হবে না।

থাই কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা সমুদ্রে অভিবাসীদের ওপর নজর রাখবে এবং যারা অসুস্থ হয়ে তাদের পাড়ে এসছে তাদের চিকিৎসা গ্রহণের অনুমতি দেবে।

২৯ মে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এ বিষয়ে একটি আঞ্চলিক সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে।