বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বরাবর পাঠানো একটি চিঠিতে এই আবেদন জানিয়েছেন দূত খালেদ আলেমানি।
চিঠিতে বিশেষভাবে ইয়েমেনের এডেন ও তায়িজ শহর ‘রক্ষার’ আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তার এই আবেদন এ ধরনের কোনো পদক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি সমর্থন যোগানোর জন্য যথেষ্ট হবে।
২৪ মার্চ ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ইয়েমেনের পাঠানো এ ধরনের একটি চিঠির সূত্র ধরেই ২৬ মার্চ ভোর থেকে দেশটিতে বিমান হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।
ওই চিঠিতে নিরাপত্তা পরিষদকে ইয়েমেন জানিয়েছিল, তারা উপসাগরীয় আরব দেশগুলোকে সামরিকভাবে সহায়তা করার অনুরোধ করেছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমান হামলার পরও বুধবার এডেনের তাবাহি এলাকা দখলের জন্য লড়াই শুরু করেছে ইয়েমেনের শিয়া হুতি বিদ্রোহীরা। এলাকাটির দখল নেয়ার জন্য শহরটিতে নিজেদের শক্তিও বৃদ্ধি করেছে হুতিরা। এডেনের লড়াইয়ের মাধ্যমেই ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া ওই চিঠিতে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোকে ‘নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে মানবাধিকারের বর্বর লঙ্ঘণের’ প্রমাণ ধরে রাখারও আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠিতে বেসামরিক হত্যা ও চিকিৎসা দলকে বাধা দেয়ার জন্য হুতিদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবারের লড়াইয়ে দেশটিতে ১২০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগ বেসামরিক বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদের মধ্যে এডেন থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে হুতিদের গোলার আঘাতে অন্ততপক্ষে ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে উদ্ধারকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়েছে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
বিদ্রোহী হুতিদের সঙ্গে ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দল্লাহ সালেহর অনুগত সেনাবাহিনীর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যোগ দেয়ার পর থেকে সম্মিলিত বাহিনী রাজধানী সানাসহ দেশটির অধিকাংশ স্থান দখল করে নিয়েছে।
কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদির অনুগত এডেন এখনও দখলে নিতে পারেনি হুতিরা। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে শহরটি অবরোধ করে রেখেছে তারা। হাদির অনুগতরা শহরটি রক্ষার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।
সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট হাদি স্বল্প সময়ের জন্য শহরটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।