অভিবাসী ইস্যুকে হাতিয়ার করলেন হিলারি

অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়ার ইস্যুটিকেই ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাতিয়ার করেছেন ওই নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক হিলারি ক্লিনটন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2015, 01:01 PM
Updated : 6 May 2015, 01:01 PM

যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসী যারা দীর্ঘদিন ধরে সেদেশে বাস করেও নাগরিকত্ব পায়নি তাদেরকে এ পথ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হিলারি।

মঙ্গলবার অভিবাসী আইন সংস্কারের মধ্য দিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্বের পথে আনার আহ্বান জানিয়ে হিলারি কেবল ল্যাটিনো ভোটারদের দলে টানারই চেষ্টা করেননি বরং প্রতিপক্ষ রিপাবলিকানদের বিপরীতেও শক্ত অবস্থান নিয়েছেন।

নেভাদায় একটি হাই স্কুলে একদল শিক্ষার্থীর উদ্দেশে ভাষণে হিলারি বলেন, “আমরা (অভিবাসীদের) পূর্ণ এবং সমান নাগরিকত্বের পথে চলার জন্য আর অপেক্ষা করে বসে থাকতে পারি না। এ ব্যাপারে আমি এখন রিপাবলিকান পক্ষের প্রত্যেক্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করছি।”

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ল্যাটিনো ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নেভাদা এবং কলোরাডোর মতো দোদুল্যমান নির্বাচনী এলাকাগুলোতে। রিপাবলিকানরাও আগামী নির্বাচনে বড় ধরনের ল্যাটিনো ভোট জেতার চেষ্টায় আছে। যে ভোট তারা ২০১২ সালে জিততে পারেনি। ওই বছর রিপাবলিকানদেরকে অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে খুবই কট্টর বিবেচনা করে তাদের ভোট দেয়নি  হিসপানিকদের অনেকেই।

এবার যেন সে অবস্থান থেকেই কিছুটা সরে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে রিপাবলিকানরা। ফ্লোরিডার সাবেক রিপাবলিকান গভর্নর এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী দৌড়ে নামার চিন্তাভাবনায় থাকা জেব বুশ অবৈধ অভিবাসীদেরকে বৈধতা দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। পূর্ণ নাগরিকত্বের বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।

হিলারি এ বিষয়টির প্রতিই ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘রিপাবলিকানরা যে আইনগত মর্যাদা দিতে চায়, সেটি দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকত্ব।’ 

নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়টি সমর্থনের  পরিষ্কার ঘোষণা দেয়া বা  সমর্থন দিয়ে যাওয়ার কথা রিপাবলিকানরা বলছেন না  বলে সতর্ক করে দিয়ে হিলারি বলেন, “আপনারা ভুল করবেন না,”

নেভাদার  লাস ভেগাস নগরী থেকে উত্তরে ১০ মাইলের কম দূরের ওই হাই স্কুলটির প্রায় ৭০ শতাংশই হিসপানিক ভোটার।

নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারকারী অত্যন্ত স্পর্শকাতর অভিবাসী আইনটি এখন কংগ্রেসে ঝুলে আছে।  ২০১৩ সালে অভিবাসী সংস্কারের একটি পরিকল্পনা সিনেটে অনুমোদন পেলেও কংগ্রেসে তা পাশ হয়নি।