লেবানন ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী পার্বত্য সীমান্ত এলাকা কালামউন লক্ষ করে আক্রমণটি পরিচালিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কখন এটি চালানো হবে তা তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি বলে বুধবার জানিয়েছে বিবিসি।
সীমান্ত অঞ্চলে হিজবুল্লাহর অবস্থানগুলো প্রায়ই সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে এদের অগ্রহণযোগ্য হুমকি বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে নাসরাল্লাহ বলেছ্নে, সীমান্ত পেরিয়ে আল কায়েদা সমর্থিত আল-নুসরা ফ্রন্ট জঙ্গিদের হামলা লেবাননের নিরাপত্তার জন্য অগ্রহযোগ্য হুমকি হয়ে উঠেছে এবং এর জন্য “মৌলিক ব্যবস্থাপনা” দরকার।
“লেবানন রাষ্ট্র এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম নয়। তাই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনাসহ এগিয়ে যাব এবং এর দায় ও ফলাফল বহন করবো,” বলেছেন তিনি।
এই অভিযান কখন শুরু করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না বলে তিনি বলেছেন, “যখন আমরা শুরু করবো, আমরা কোনো বিবৃতিও দেব না। আমরা যখন শুরু করব, অভিযান নিজেই নিজের হয়ে কথা বলবে।”
হিজবুল্লাহ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্র। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আসাদের পক্ষ হয়ে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি লড়াই করার জন্য নিজেদের শত শত যোদ্ধাকে সেখানে পাঠিয়েছে গোষ্ঠীটি।
সিরিয়া- লেবাননের সীমান্তজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কালামউন এলাকাটিতে তেমন কোনো পাহারা না থাকায় বেশিরভাগ সময় সীমান্তটি উন্মুক্তই থাকে।
২০১৪ সালে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের সহায়তায় সিরীয় সরকারি বাহিনী বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে নুসরা ফ্রন্ট ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখল থেকে সীমান্ত এলাকার অধিকাংশ পুনরুদ্ধার করেছিল।