চার আইএস নেতাকে ধরতে দুইকোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা

জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) -এর চার শীর্ষ নেতার বিষয়ে তথ্য দিতে পারলে মোট ২ কোটি ডলার পুরস্কার দেয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2015, 05:15 AM
Updated : 6 May 2015, 07:25 AM

আইএস -এর ওই চার নেতা হলেন, আব্দ আল-রহমান মুস্তাফা আল-কাদুলি, আবু মোহাম্মদ আল-আদানি, তারখান তায়ুমুরাজোভিচ বাতিরাশভিলি এবং তারিখ বিন-আল-তাহার আল ফালিহ আল-আওনি আল-হারজি। 

এদের যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘রিওয়ার্ড ফর জাস্টিস’ প্রকল্পে ঘোষিত সন্দেহভাজনদের নামের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে বিবিসি। 

কাদুলিকে আইএস -এর জ্যেষ্ঠ নেতা হিসেবে বর্ণনা করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার বিষয়ে তথ্য দেয়ার জন্য ৭০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। কাদুলি এর আগে আল কায়েদার ইরাক শাখায় যোগ দিয়েছিলেন। 

আদানি ও বাতিরাশভিলি, প্রত্যেকের জন্য ৫০ লাখ এবং হারজির জন্য ৩০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। 

আদানিকে আইএস -এর দাপ্তরিক মুখপাত্র, বাতিরাশভিলিকে উত্তর সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রের কমান্ডার এবং হারজিকে আইএস -এর আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের প্রধান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। 

আইএস -এর শীর্ষ নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির বিষয়ে তথ্যের জন্য আগে থেকেই এক কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। 

তবে ওই ‘জাস্টিস’ প্রকল্পের সন্দেহভাজন তালিকার নামগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, আড়াই কোটি ডলার অর্থমূল্যের পুরস্কার ঘোষণা করা আছে আল কায়েদা নেতা আয়মান আল- জাওয়াহিরির বিষয়ে তথ্যের জন্য।
২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর তাকে আল কায়েদার শীর্ষ নেতা মনোনীত করা হয়। 

মঙ্গলবার দেয়া এক বিবৃতিতে আইএস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস হামলা তাদের মদদেই ঘটেছে। 

টেক্সাসের ডালাস শহরের কাছের গারল্যান্ড সম্মেলন কেন্দ্রে নবী মুহম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কার্টুন প্রতিযোগিতায় “খিলাফতের দুই সৈনিক” হামলা চালিয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করেছে আইএস।

সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলের ও ইরাকের উত্তরাঞ্চলের বিশাল অংশ দখল করে ইসলামি খিলাফত ঘোষণা করেছে আইএস। প্রায় এক বছর ধরে ওই এলাকাগুলোর ওপর দখল ধরে রেখে দুদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বিলুপ্ত করেছে আইএস। 

যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গোষ্ঠীটি গণহত্যা, ধর্ষণ ও শিশুহত্যার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘণের জন্য দায়ী।