পর্যাপ্ত আশ্রয় এবং পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার অভাবের পাশাপাশি ভূমিকম্পের আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এ রোগের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে ইউনিসেফ। নেপালে অধিকাংশ মানুষই এখন বাস করছে ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ির পাশে।
নেপালে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হজুমি বলেন, “হাম খুবই ছোঁয়াচে। রোগটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। আর ঘনবসতির মধ্যে রোগটি দ্রুত ছড়িয়েও পড়তে পারে বলে আমরা শঙ্কায় আছি। গরিবী হালের অস্থায়ী এ শিবিরগুলোতে রয়েছে বহু শিশু।”
নেপালে মানবতার সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক দলগুলো এ সমস্ত শিবিরে বাস করা ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে টিকা দেয়ার কাজ করে যাচ্ছে। কাঠমান্ডু ভ্যালির ঘনবসতিপূর্ণ তিনটি এলাকা বখতপুর, কাঠমান্ডু এবং ললিতপুরে চলছে এ কর্মসূচি।
হামের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে নেপালের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা নিয়ে হামের বিরুদ্ধে প্রচারও শুরু করেছে।