আইএস এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘খেলাফতের দুই জন যোদ্ধা’ ডালাসের কাছে একটি কনফারেন্স সেন্টারে ওই হামলা চালায়।
আইএস’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা আমেরিকানদের বলতে চাই তাদের জন্য ভবিষ্যতে এর চেয়ে বড় এবং তিক্ত কিছু অপেক্ষা করছে। আপনারা দেখবেন ইসলামিক স্টেট যোদ্ধারা ভবিষ্যতে কতটা ভয়ঙ্কর কাজ করে।”
আইএস পরিচালিত আল-বয়ান বেতারের খবরে বলা হয়েছিল, “ওই প্রদর্শনীতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে ব্যঙ্গ করে আঁকা ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে।”
রোববারের ওই হামলার পর হামলাকারী দুই জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি প্রতিনিধি জানান, খুব সম্ভবত এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কোন হামলার দায় স্বীকার করল আইএস।
আদালতের তথ্যানুযায়ী, গুলিতে নিহত দুই অস্ত্রধারীর একজনের সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর তালিকায় নাম ছিল।
২০০৬ সাল থেকে এলটন সিম্পসনের ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। এফবিআই এজেন্টের কাছে মিথ্যা বলার অপরাধে ২০১০ সালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। স্বেচ্ছাসেবী জঙ্গি হিসেবে যুদ্ধ করার জন্য সেবার সিম্পসন সোমালিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।
মিথ্যা জবানবন্দি দেয়ার অপরাধে সিম্পসনের তিন বছর কারাদণ্ড এবং ছয়শ মার্কিন ডলার জরিমানাও হয়। তবে বিদেশি জঙ্গিদের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা থাকা বিষয়টি সেবার প্রমাণ হয়নি।
নাদির সোফি নামে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে অ্যারিজনাতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতেন সিম্পসন। হামলায় নিহত অন্য অস্ত্রধারী নাদির সোফি বলেই ধারণা পুলিশের।