থাইল্যান্ডে আরেকটি মানব পাচার শিবিরের সন্ধান

থাইল্যান্ডের দক্ষিণে মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছে জঙ্গলে আরেকটি শিবির খুঁজে পেয়েছে থাইল্যান্ডের পুলিশ। এ শিবিরটিও মানব পাচারের কাজে ব্যবহার করা হত বলে ধারণা পুলিশের।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2015, 02:37 PM
Updated : 5 May 2015, 02:37 PM

শুক্রবার থাইল্যান্ডের সংখলা প্রদেশে পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত শিবিরে অগভীর গর্তে ২৬টি মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার পর দ্বিতীয় এ শিবিরের সন্ধান পাওয়ার কথা মঙ্গলবার জানিয়েছে থাই পুলিশ।

মানব পাচারকারীরা মুক্তিপণের জন্য লোকজনকে শিবিরে বন্দি করে রাখত। পুলিশ এলাকাটিতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে নতুন শিবিরটি খুঁজে পায়।

সংখলা প্রদেশ পুলিশের ডেপুটি কমান্ডার কর্নেল ত্রিউইত শ্রিপ্রাপা মঙ্গলবার রয়টার্সকে বলেন, ওই পাহাড়ে আরেকটি শিবির খুঁজে পাওয়া গেছে। সেখানে বাঁশের তৈরি আটটি কুঁড়েঘর, তিনটি তাঁবু এবং রান্নার জন্য দুইটি ছোট ঘর রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ সোমবার সেখান থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় কঙ্কালসার তিনজনকে উদ্ধার করে বলেও জানান ত্রিউইত।

“শিবিরটি দেখে মনে হচ্ছে এটি সদ্যই পরিত্যক্ত হয়েছে। খুব সম্ভবত এলাকাটিতে তল্লাশি চলতে পারে আঁচ করে মানব পাচারকারীরা সেখান থেকে চলে গেছে।”

প্রতিবছর মানব পাচারকারীদের হাতে পড়ে হাজার হাজার মানুষ (বিশেষ করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি ও বাংলাদেশিরা) অবৈধ পথে থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করে। পাচারকারীরা মুক্তিপণের জন্য অনেককে গভীর জঙ্গলের শিবিরে আটকে রাখে।

সোমবার থাই পুলিশ মানব পাচার ও মুক্তিপণের জন্য লোকজনকে বন্দি করে রাখার অভিযোগে এক  রোহিঙ্গা এবং থাইল্যান্ডের স্থানীয় প্রশাসনের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। থাইল্যান্ডের আরেক ব্যক্তিকে খোঁজ করা হচ্ছে বলেও জানায় পুলিশ।

পুলিশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রাওউত থাভর্নসিরি বলেন, দ্বিতীয় শিবিরেও চার থেকে পাঁচটি কবর খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে সেখানে এখনো কোন মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

জঙ্গলে শিবির খুঁজে পাওয়ার পর ওই এলাকার এক ডজনের বেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া, মানব পাচারকারী চক্রের সঙ্গে তাদের কোন যোগাযোগ ছিল কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান জেনারেল প্রাওউত।

থাইল্যান্ড মানব পাচারের আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মানুষ ক্রয়-বিক্রয়, মানব পাচার ও দাস ব্যবসা বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থাইল্যান্ড সরকারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে।