মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)বলেছে, হুতি বিদ্রোহীদের ওপর অন্তত দুইবার গুচ্ছ বোমা ব্যবহারের প্রমাণ তাদের কাছে আছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গুচ্ছ বোমা থেকে ছোট ছোট বোমা বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া, অনেক অবিস্ফোরিত বোমাও মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারে।
১১৬ টি দেশের সই করা একটি চুক্তির আওতায় এ বোমা নিষিদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু সৌদি আরব এ চুক্তিতে সই করেনি।
২০০৮ সালের ওই চুক্তিতে সই করেনি যুক্তরাষ্ট্র কিংবা সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের কোনো দেশও। তবে যে সব দেশ আবাসিক এলাকাগুলোতে এ বোমা ব্যবহার করে সে সব দেশে এ অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এইচআরডব্লিউ বলেছে, অবৈধ এ গুচ্ছ বোমা হামলা হয়েছে আল-অমর এবং আল-সাফরা এলাকায়।
সৌদি আরব এর আগে গুচ্ছ বোমা ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছিল বলে জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। বিমান হামলা শুরুর পরপরই সামরিক এক মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা আদৌ গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করছি না।”
ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে প্রেসিডেন্টকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হুতি বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী।
পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দু রাব্বু মনসুর হাদির শাসন পুনর্প্রতিষ্ঠা করাই এ অভিযানের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।