ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে অবকাঠামোগত পূর্বরূপ ফিরিয়ে আনার জন্য আনুমানিক এই পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাম শর্মা মাহাত।
মাহাত বলেন, "এটি প্রাথমিক ধারণা। কী পরিমাণ অর্থ লাগাবে তা ক্ষতির পরিমাণ ও পুনঃনির্মাণ ব্যয় বিবেচনা না করে বলা সম্ভব নয়।"
এরআগে প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে, যা ১৯৩৪ সালের ভূমিকম্পের মৃতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যাবে।
১৯৩৪ সালের ওই ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিলেন সাড়ে ৮ হাজার মানুষ।
তবে নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র লক্ষ্মী প্রসাদের মতে, "১৯৪৩ এর ভূমিকম্প অনেক শক্তিশালী ছিল। আর নেপালের লোকসংখ্যাও তখন অনেক কম ছিল।"
"নতুন করে সব কিছু আবার তৈরি করার ব্যয় হবে বিপুল।"
এদিকে নেপালে প্রতিদিনই আসছে বিদেশি সহযোগিতা। তবে অভিযোগ উঠছে, দুর্গত অঞ্চলে সরকার সময়মত ত্রাণ পৌঁছাতে পারছে না।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রের কাছে, কাঠমান্ডুর পশ্চিমের গ্রাম সুন্দরখোলায় খাদ্য সংকট এতই যে, মানুষ ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছে। সুপেয় পানির সংকটও দেখা দিয়েছে।
তবে আশার আলো ছড়াচ্ছে হিমালয়। তুষারধসে ১৮ পর্বতারোহী ও শেরপার মৃত্যু শোক কাটিয়ে আগামী সপ্তাহে আবার শুরু হতে যাচ্ছে এভারেস্ট জয়ের অভিযান।