নেপালে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সংখ্যা ৮০ লাখ: জাতিসংঘ

নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় ৮০ লাখ মানুষের জীবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

>>রয়টার্স
Published : 28 April 2015, 06:33 AM
Updated : 28 April 2015, 08:12 AM

শনিবার দুপুরের ঠিক আগে সংঘটিত ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত  ৪,৩৪৯ জনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে নেপাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। আহত হয়েছেন আরো ৭,৫৯৮ জন।  

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০,০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশিল কৈরালা।

ভূমিকম্পের পর ত্রাণকাজে ধীরগতিতে  খোলা আকাশের নিচে তৃতীয় রাত কাটানো বিপন্ন হাজারো মানুষের মাঝে ক্ষোভ সঞ্চার হচ্ছে।

দুর্গত এলাকায় ত্রিপল, পরিষ্কার পানি থেকে শুরু করে সাবান ও ওষুধধের মতো ত্রাণ সামগ্রী জরুরী ভিত্তিতে পাঠানো দরকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সর্বশেষ সমীক্ষার পর এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের নেপাল দপ্তরের আবাসিক প্রতিনিধি বলেছেন, “প্রাথমিক হিসাব ও ভূমিকম্প তীব্রতার সর্বশেষ মানচিত্রানুযায়ী, ৩৯টি জেলার ৮০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এদের মধ্যে ২০ লাখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ ১১টি জেলার বাসিন্দা।”

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর থেকে খাদ্য ও পানযোগ্য পরিষ্কার পানির সরবরাহ অপ্রতুল হযে পড়েছে।

ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর বেশ কয়েকটি পরাঘাতের কারণে পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে উঠেছে। এতে জরুরীভাবে যাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো দরকার সেখান তা পাঠানোতে বিঘ্ন ঘটছে। লণ্ডভণ্ড, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ত্রাণকর্মীরা।

সোমবার ভূমিকম্পের দুদিন পর রাজধানী কাঠমাণ্ডুর পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত ছিল। এদিন শহরের ছোট ছোট মুদি দোকানগুলো তাদের ঝাঁপি খুললেও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এদিনও বন্ধ ছিল।

পেট্রল পাম্পগুলোতে জ্বালানীর জন্য গাড়ি ও ট্রাকের দীর্ঘ লাইন পড়েছে। ব্যাংক বন্ধ থাকলেও এটিএম বুথগুলো চালু আছে, কিন্তু এগুলোতে কোনো অর্থ সরবরাহ নেই।

পরাঘাতের কারণে আরো ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কায় লোকজন ঘরবাড়িতে না থেকে সোমবার রাতও খোলা আকাশের নীচে কাটিয়েছেন। আত্মীয়-স্বজন, ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পদ হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নেয়া বিপন্ন মানুষগুলো ত্রাণের অভাব ও থেমে থেমে ঘটতে থাকা পরাঘাতের কারণে হতাশ হয়ে পড়েছ।

কাঠমাণ্ডু ও এর আশপাশে খোলা জায়গায় এ পর্যন্ত ২১টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।