১৮৩২ সালে নেপালের রানির জন্য ৬০ মিটার উচ্চতার নয় তলা ধারাহারা টাওয়ারটি নির্মাণ করে রাজ শাসকরা।
শনিবার নেপালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর টাওয়ারটি ধসে পড়ে। বর্তমানে টাওয়ারের ভাঙা অংশটি মাত্র ১০ মিটার উচ্চতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ইট-বালির স্তূপে পরিণত হওয়া ওই ধ্বংসাবশেষের সামনে দাঁড়িয়ে অসংখ্য মানুষ তাদের স্মার্টফোনে সেলফি তুলছে। কেউ বা বন্ধু পরিজনের হাতে ক্যামেরা ধরিয়ে দিয়ে হাসি মুখে ধ্বংসস্তূপের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ছে।
নেপালে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ইউনেস্কো ঘোষিত ঐতিহ্যবাহী এই ধারাহারা টাওয়ার। ভূমিকম্পের সময়ও টাওয়ারে অনেক পর্যটক ছিলেন। যদিও এখন পর্যন্ত এখানে কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। অন্তত এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
২১ বছর বয়সী শিক্ষার্থী পাওয়ান থাপা মফস্বল শহর থেকে উদ্ধারকাজে অংশ নেয়ার জন্য রাজধানী কাঠমান্ডুতে এসেছেন। ধারাহারা টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপের সামনে দাঁড়িয়ে লোকজনকে হাসিমুখে ছবি তুলতে দেখে এই তরুণ রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
থাপা বলেন, “মেনে হচ্ছে এটা ভূমিকম্প পর্যটন। এটি একদমই ঠিক না। এখানে কত বড় বিপর্যয় ঘটেছে তা অনুভব না করে তারা সেলফি তোলায় অনেক বেশি আগ্রহী!”
যারা ছবি তুলছেন তারা বিদেশি পর্যটক নন বরং নেপালের অধিবাসী। নিজেদের বিধ্বস্ত ঐতিহ্যের সঙ্গে তারা সেলফি তুলছে।