ভূমিকম্পে এভারেস্টে তুষার ধসে পর্বতারোহীদের মৃত্যু

নেপালে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের প্রভাবে মাউন্ট এভারেস্টে মারাত্মক তুষার ধসে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2015, 02:12 PM
Updated : 26 April 2015, 02:45 AM

নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জ্ঞানেন্দ্র শ্রেষ্ঠা বলেন, ধসের কারণে এভারেস্টের বেইজ ক্যাম্পের কিছু অংশ বরফের নিচে চাপা পড়েছে।

ওই এলাকায় অবস্থান করা শত শত পর্বতারোহীর জীবন নিয়েও শঙ্কা জেগেছে।

“ক্যাম্পের দুইটি তাঁবু আহত মানুষে ভরে গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। নিহতদের মধ্যে বিদেশি নাগরিক এবং শেরপারা রয়েছে।”

পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যখন ভূমিকম্প হয় তখন অন্তত এক হাজার পর্বতারোহী (যাদের মধ্যে প্রায় চারশ জন বিদেশি) বেইজ ক্যাম্প বা এভারেস্টের চূড়ার পথে ছিলেন।

এভারেস্ট পর্বতে ওঠার জন্য এপ্রিল পর্বত আরোহীদের কাছে সবচেয়ে পছন্দের সময়। কারণ এ সময় বৃষ্টি বা মেঘের আচ্ছাদনে পড়ার ঝামেলা কম থাকে।

নেপালের ইতিহাসে ৮১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৮০০’র বেশি জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

নেপাল ছাড়াও বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে।

ভারতে এখন পর্যন্ত ৩৪ জন এবং বাংলাদেশে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

রোমানিয়ার পর্বতারোহী অ্যালেক্স গ্যাভেন টুইটারে বলেন, “এভারেস্টে বড় ধরনের তুষার ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বহু মানুষ পাহাড়ে ছিলেন। জীবন বাঁচাতে আমি তাঁবু থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যাই।”

আরেকজন পর্বতারোহী ড্যানিয়েল মাজুর টুইটারে বলেন, “বেইজ ক্যাম্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমার দল আটকা পড়েছিল। দয়া করে সবার জন্য প্রার্থনা করুন।”

নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহন কৃষ্ণা বলেন, টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় সরকারকে এভারেস্টে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে বেগ পেতে হচ্ছে।

“পর্বতারোহীরা বেইজ ক্যাম্পের আশে পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন। এমনকি কয়েকজন বেশ উপরে উঠে গিয়েছিলেন। এই মুহূর্তে তাদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রায় অসম্ভব।”

এভারেস্ট সামিটিয়াস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছোটি শেরপা বলেন, তিনি পাহাড়ের উপর থেকে তার পরিবার ও সহকর্মীদের কাছে ফোন করতে পারছেন না।

“আমরা সবাই সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি, কিন্তু পারছি না। আমরা সবাই ভীষণ উদ্বেগের মধ্যে আছি।”