কৃষকের আত্মহত্যা: ক্ষমা চাইলেন কেজরিওয়াল

সভা চলাকালে সভামঞ্চের পাশেই একজন কৃষকের আত্মহত্যার পরও বক্তৃতা বন্ধ না করায় ক্ষমা চেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টি (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2015, 02:26 PM
Updated : 24 April 2015, 02:26 PM

এরপরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কড়া ভাষায় কেজরিওয়ালের সমালোচনা করেছে এবং বলেছে এ ঘটনায় ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়।

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা ও পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকার বলেন, “ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়। কৃষকদের আপনার অফিসের শোপিস বা প্রদর্শনীর কোন বস্তুতে পরিণত করতে পারেন না। আপনি আত্মহত্যার দৃশ্য মঞ্চস্থ করতে পারেন না।”

কংগ্রেস পার্টির নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, “ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়। তার (কেজরিওয়াল) যেটা করা উচিত ছিল তিনি সেটা করেননি।”

বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াওয়াতি বলেন, “আমি কেজরিওয়ালকে বলতে চাই তিনি ক্ষমা চাইলেও ওই কৃষক আবার বেঁচে উঠবেন না।”

বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরে কেজরিওয়ালের সভামঞ্চের পাশেই একটি গাছে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন রাজস্থানের দৌওসা জেলার কৃষক গজেন্দ্র সিংহ রাজপুত।

এএপি কর্মীরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সভামঞ্চের পাশে কৃষক আত্মহত্যা করেছেন শোনার পরও কেজরিওয়াল ও তার আম আদমি পার্টি (এএপি) সমাবেশ বন্ধ করেনি।

এ ঘটনায় ভারত জুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি করে এবং কেজরিওয়াল ও তার দলকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। কৃষক বঞ্চনা এবং কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণ বিলের প্রতিবাদ জানাতে ওই সভার আয়োজন করেছিল এএপি।

শুক্রবার কেজরিওয়াল ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আত্মহত্যার ঘটনা ঘটার পরও তার বক্তৃতা চালিয়ে যাওয়া উচিত হয়নি। প্রকৃতপক্ষে আমার এক ঘণ্টা বক্তৃতা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই ঘটনার পর মাত্র ১০-১৫ মিনিটে আমি বক্তব্য শেষ করেছি।”

“তারপরও আমার মনে হয়ে আমি ভুল করেছি। হয়ত আমার বক্তৃতা না দেয়াই উচিত ছিল। আমর আচরণে কেউ আঘাত পেলে তার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।”

“আমি অপরাধী, আমাকে দোষারোপ করুন। কিন্তু দয়া করে মূল বিষয় থেকে ‍দৃষ্টি সরিয়ে নেবেন না। কৃষকদের দিকে দৃষ্টি দিন এবং তাদের নিয়ে নোংরা রাজনীতি বন্ধ করুন।”

এ ঘটনার পেছনে কাদের হাত আছে তা তদন্ত করে বের করা হবে বলেও জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ওই সময় মঞ্চে উপস্থিত সবাই গজেন্দ্রকে সাহায্য করার জন্য চিৎকার করছিলেন বলেনও জানান তিনি।

যদিও দিল্লি পুলিশের অভিযোগ, এএপি কর্মীরা গজেন্দ্রকে বাঁচাতে তাদেরকে ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দিয়েছে। এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এএপি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, পুলিশ যথাযথ ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেনি।