তিউনিসিয়ার এই নাগরিক মোহাম্মেদ আলি মালেকের(২৭)বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তিকে হত্যা ও মানব পাচারে অভিযোগ আনা হয়েছে। শুক্রবার অভিযোগের শুনানির জন্য তাকে আদালতে নেয়া হয়।
যদিও মালেকের দাবি তিনি ওই নৌযানের ক্যাপ্টেন ছিলেন না। শনিবার মধ্যরাতে ভূমধ্যসাগরে লিবিয়ার জলসীমায় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ওই নৌকাটি অন্য একটি নৌযানের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পর ডুবে যায়।
এ ঘটনায় সাত শতাধিক অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছে, যাদের অধিকাংশই দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মাত্র ২৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা বলেন, দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া অভিবাসীরা মালেককে নৌকাটির ক্যাপ্টেন হিসেবে সনাক্ত করেছেন। তবে মালেকের আইনজীবী মাসিমো ফেরান্তে বৃহস্পতিবার জানান, তার মক্কেলের দাবি তিনি নৌকার একজন যাত্রী।
শুক্রবার কাতানিয়ার সিসিলি শহরের একটি আদালতে প্রাথমিক শুনানির সময় কেঁদে ফেলেন মালেক। বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের এ মামলায় সাক্ষী দিতে আদালতে হাজির করা হতে পারে।
ওদিকে, জাহাজের ক্রু সিরিয়ার মাহমুদ বিখিত (২৫) এ দুর্ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনভাবে জড়িত নন বলে দাবি করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত নৌযানটি যখন অন্য একটি নৌযানের সঙ্গে ধাক্কা খায় তখন মালেক জাহাজটি চালাচ্ছিলেন।
বিখিতের বিরুদ্ধে মানব পাচারে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হলেও তার বিরুদ্ধে হত্যার কোন অভিযোগ আনা হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।