জাতিসংঘে প্রথম নারী মহাসচিবের জন্য প্রচারণা 

২০১৬ সালে জাতিসংঘের নতুন মহাসচিব নির্বাচনে একজন নারীকে নির্বাচিত করার জন্য প্রচারণা শুরু করেছে একটি নারী অধিকার সংগঠন। 

>>রয়টার্স
Published : 23 April 2015, 09:17 AM
Updated : 23 April 2015, 09:17 AM

৭০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে পুরুষরাই বিশ্বসংস্থাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবার এই ধারা পরিবর্তনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নারী অধিকারকর্মীরা।
 
বুধবার নারী ও কিশোরীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ইক্যুয়ালিটি নাও’ অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ প্রচারণা শুরু করেছে। 

ইক্যুয়ালিটি নাও’র আইনজীবী আন্তোনিয়া ক্রিকল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, “জাতিসংঘের মহাসচিব বাছাইয়ের প্রক্রিয়া বিশ্বব্যাপী লিঙ্গ-সমতা আনার ক্ষেত্রে আমাদের এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার বড় ধরনের সুযোগ করে দিয়েছে। একে বাস্তব সম্ভাবনায় পরিণত করার মতো আরো অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এ জন্য আমরা আশাবাদী।”
 
২০১৬ সালে জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব বান কি মুনের মেয়াদ শেষ হবে।
২৭ এপ্রিল জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সংস্থাটির পরবর্তী মহাসচিব বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে বির্তক শুরু হওয়ার কথা আছে। ওই দিন ট্যুইটার, ফেইসবুক ও টাম্বলারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে “ঝড়” তোলার পরিকল্পনা করেছে ইক্যুয়ালিটি নাও। 

তবে সংগঠনটি বিশেষ কোনো নারী প্রার্থীর জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে না। তারা বিশ্ব মঞ্চে প্রতিষ্ঠিত কোনো একজন নারীকে মহাসচিব হিসেবে বেছে নেয়ার জন্য জনমতের চাপ তৈরি করে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছে। 

জাতিসংঘের কূটনীতিকদের মতামত অনুযায়ী সম্ভাব্য যে নারীরা মহাসচিব পদপ্রার্থী হতে পারেন তাদের মধ্যে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচীর প্রধান নিউজিল্যান্ডের হেলেন ক্লার্ক, লিথুনিয়ার প্রেসিডেন্ট ডালিয়া গ্রিবাউসকাইট, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজেট ও মানব সম্পদ কমিশনার বুলগেরিয়ার ক্রিস্টালিনা গেয়রগিভা এবং ইউনেস্কোর প্রধান ইরিনা বোকোভা। 

জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী আগামী মহাসচিব হবেন পূর্ব ইউরোপের কোনো দেশের নাগরিক।